আর কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে দেবে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ও। জানা যাচ্ছে ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি নাগাদ এই নির্ঘন্ট ঘোষণা করা হবে। অর্থাৎ বলা যেতে পারে বিধানসভা ভোটের দামামা ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে। কোন রাজনৈতিক দল কাউকে এক ইঞ্চিও় কালীঘাটেতে রাজি নয়। তাই এবারে কালীঘাটে দলের কোর কমিটি নেতৃত্বকে পুরোদমে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দরজায় দরজায় গিয়ে তৃণমূল সরকারের সাফল্য তুলে ধরার নির্দেশ দিলেন মমতা। তার ঘোষণা স্বরূপ আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তৃণমূল কোর কমিটির সদস্যরা কাজ শুরু করে দেবেন। শুক্রবার বিকেলে তৃণমূল নেত্রীর কালীঘাটের বৈঠকে হাজির ছিলেন দলের সাংসদ এবং কোর কমিটির বেশকিছু সদস্য। প্রশান্ত কিশোর সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন ওই বৈঠকে। বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বৈঠক চলে। সেই বৈঠকে মূল ইস্যু গুলিকে নিয়ে মমতা ব্যানার্জি আলোচনা করেছেন। এছাড়াও কে বিজেপিতে গেল, তা নিয়ে একেবারেই ভাবতে বারণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে ওই বৈঠকে দলের চার তারকা সাংসদ দেব, মিমি, নুসরাত এবং শতাবদি রায় কে প্রচারে জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি জানিয়ে দিয়েছেন, দলের প্রত্যেক নেতা কে প্রতিমাসে ১০ দিন করে দলের জন্য সময় বের করতে হবে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহলে বেশি করে জোর দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।উত্তরবঙ্গের দুই নেতাকে তিনি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন নিজেদের মধ্যে গোলমাল কমিয়ে দলকে জেতানোর দিকে নজর দিতে। নেত্রী বলছেন, "যদি কেউ হেরে যান, তাহলে তিনি শুধুমাত্র ব্যক্তিগতভাবে হারবেন না। তৃণমূল হারবে। তাই সেটা যেন সকলের মাথায় থাকে।
এদিনের বৈঠকে তিন তারকা সাংসদ দেব, মিমি এবং নুসরাতকে ডাকা হয়েছিল। যদিও দেব বাদে বাকি দুজন বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। এছাড়াও বৈঠকে এসেছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী এবং দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়। মালা রায়ের লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর থাকে। তাই এই কেন্দ্রের উপর বিশেষভাবে জোর দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও শুক্রবারের বৈঠকে খুব স্বাভাবিকভাবেই কাঁথির অধিকারী পরিবারের দুই সদস্য শিশির অধিকারী এবং শুভেন্দু অধিকারীকে ডাকা হয়নি।