শীত (Winter) মানেই উৎসবের মরশুম। আলোয় সেজে ওঠে শহরের অলিগলি। সব ধর্ম সমন্বয়ে বড়দিনের রোশনাইতে সেজে ওঠে তিলোত্তমাও। তার মধ্যেই অন্যতম পার্ক-স্ট্রিট। কাজেই ডিসেম্বরের শুরু থেকেই সাজো সাজো রব কলকাতার। সাধারণ মানুষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে, বাদ যাননি মুখ্যমন্ত্রীও। বড়দিনের অনুষ্ঠান উদ্বোধনের সঙ্গেই, পার্কস্ট্রিটের অনুষ্ঠানেও কিছুক্ষণের জন্য উপস্থিত ছিলেন তিনি। আবার ক্রিসমাসের আগের রাতে ব্রেবোর্ন রোডের পর্তুগিজ চার্চেও দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। সেখানে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন তিনি। এই উৎসবের মরশুমেই আজ আবার তিনি ঘুরে গেলেন বো বারাক থেকে।
সোমবার নবান্ন থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে গিয়েছিলেন ঐতিহ্যমন্ডিত বো বারাকে। তাঁর উপস্থিতির খবর পেয়ে এলাকাবাসীরাও তাঁকে সাদর অভ্যর্থনা জানায়। তিনিও এলাকাবাসীদের সাথে আলাপচারিতা করেন। তাঁর উপস্থিতিতে এলাকাবাসীরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত।
তবে শুধু বড়দিনের উৎসবেই মেতে নেই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। বরং বে বারাকে যাওয়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে গঙ্গাসাগরের মেলার প্রস্তুতি নিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তা, বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে বিভিন্ন নির্দেশিকাও দেন তিনি। এই বৈঠকে তিনি জানান, "কালই গঙ্গাসাগর যাচ্ছি। পৌঁছে বিকেল ৪টে নাগাদ পুজো দেব।’’ সেই সূত্র থেকেই জানা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাসাগরে তিন দিনের সফরে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার গঙ্গাসাগরে কপিল মুনির আশ্রমে তাঁর পুজো দেওয়ার কথা রয়েছে। এরপর তিনি মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন। তাঁর ফেরার কথা আগামী বৃহস্পতিবার।
বৈঠকে রেলের প্রতিনিধি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন, গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে অতিরিক্ত ৭০টি ট্রেন চালু করা হবে। এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণে ১০টি অস্থায়ী দমকল কেন্দ্র এবং ১০ হাজারের বেশি শৌচালয় তৈরি করা হবে। এছাড়াও করোনার কথা মাথায় রেখে আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে কোভিড পরীক্ষাকেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে মেলা প্রাঙ্গণে। এছাড়াও ৬০০ শয্যার করোনা হাসপাতাল এবং ১১টি কোয়রান্টিন সেন্টার তৈরি রাখা হচ্ছে। এমনকি ৮-১৭ জানুয়ারির মধ্যে গঙ্গাসাগরে আগত দর্শনার্থীদের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকার বিমার ব্যবস্থাও করা হবে।