একের পর ধর্ষণের অভিযোগ খোদ বাংলায় (West Bengal)। বর্তমানে আর জি কর হাসপাতালে পাঞ্জা লড়ছে বাংলার বছর এগারোর 'নির্ভয়া'। গতকাল পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হলেও, আজ সোমবার সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হল বসিরহাটের মাটিয়ায় ধর্ষণকাণ্ডে গুরুতর আহত নাবালিকার জন্য। প্রতিনিয়ত তার শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখছেন চিকিৎসকরা। তবে এখনও সে বিপদমুক্ত নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
এই ঘটনার রেশ না মিটতেই, বসিরহাটের পর এবার মালদহে উঠল ধর্ষণের অভিযোগ। খবর, দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর মুখ-হাত বেঁধে, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ধর্ষণ করেন প্রতিবেশী এক যুবক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের ইংরেজবাজার থানার শোভানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর এলাকায়। বর্তমানে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি ওই নির্যাতিতা।
অভিযোগ, গতকাল নিজের বাড়িতে একা ছিলেন ওই নাবালিকা। সে সময় প্রতিবেশী যুবক শেখ রাইহান তাকে দরজা খুলতে বলে। রাজি হননি ওই ছাত্রী। শেষে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে ওই যুবক। কিশোরীর গায়ে থাকা ওড়না দিয়ে তার মুখ বেঁধে ফেলে সে। চলে পাশবিক অত্যাচার। প্রতিবেশী যুবক আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। ওই কিশোরীর পরিবারের লোকজন বাড়ি ফিরতেই সব কথা খুলে বলে সে। পরিবারের তরফে থানায় দায়ের হয় এফআইআর। এবং কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতেই ভর্তি করা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বর্তমানে ছাত্রীটি ওই হাসপাতালেই ভরতি। চিকিৎসকদের দাবি, তাঁর যৌনাঙ্গের আঘাত বেশ গুরুতর।
এদিকে ওই ঘটনার পর অভিযুক্ত ধর্ষক শেখ রাইহান পলাতক। পুলিশ তার খোঁজ শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বসিরহাটের মাটিয়ায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত-সহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।