বন্যার ত্রাণের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতে। অভিযোগের তীর গিয়েছে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী, উপপ্রধান ও বেশ কয়েকজন তৃণমূল ও বিজেপি সদস্যের দিকে কারণ তাদের অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের টাকা ঢুকেছে বলে খবর। আর এই অভিযোগ উঠতেই টাকা ফের সরকারি তহবিলে ফিরতে শুরু করেছে। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও জানিয়েছেন, টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া শেষ হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কুশিদা গ্রামের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন এক সিপিআইএম নেতা। জেলাশাসককে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছিলেন, "বন্যায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা একফোঁটাও সহায়তা পাচ্ছে না। অথচ একই অ্যাকাউন্টে দু-তিনবার টাকা ঢুকেছে। এমনকি নাবালকের অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে টাকা।" বিজয় রায় নামক এক স্থানীয় বাসিন্দা অভিযোগ করেন, "বিজেপি ও তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতারা নিজের আখের গুছিয়ে নিয়েছেন।" তবে গোটা বিষয়টি সাফ অস্বীকার করেন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। তিনি জানান, "টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন"।
তবে গোটা ঘটনাতে তৃণমূলের চক্রান্ত দেখছে বিজেপি। এই প্রসঙ্গে, উত্তর মালদার সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সম্পাদক কিষাণ কেডিয়া বলেন, "তৃণমূল প্রধান, উপপ্রধানের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে সেটা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু, একজন বিজেপি সদস্যের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। এটা ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।" যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের চেয়ারম্যান সঞ্জীব গুপ্ত দাবি করলেন, "যাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে তারা ফিরিয়ে দেবে। আইন আইনের পথে চলুক।"