গতবারের তুলনায় ভিড় ছিল তুলনায় কম। পরিসংখ্যান বলছে, এবছর গত বছরের জমায়েতের খুব বেশি হলে ২৫ শতাংশ মানুষের উপস্থিতি ছিল। তারপরও পৌষ সংক্রান্তির স্নানে বিধি-নিষেধের 'ডোন্ট কেয়ার' মনোভাব দেখা গেল গঙ্গাসাগরে (Gangasagar)। হাইকোর্টের পাঠানো বিশেষ নজরদারি টিম ছিলই, তারপরও আটকানো গেল কি কোভিড বিধি-নিষেধ?
রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি ভয়াবহ। দেশেও দৈনিক হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে বড় ধরণের জমায়েত কিংবা কোন ধর্মীয় সমাবেশ যে করোনার সুপার স্প্রেডারের আকার ধারণ করতে পারে তা বলাই বাহুল্য। তাই মেলা বন্ধে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। মামলার রায়ে তৈরি হয় বিশেষ নজরদারি কমিটি। প্রাথমিক ভাবে এই নজরদারি কমিটি গঙ্গাসাগর মেলায় কিছু ত্রুটি দেখতে পান। প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়। সেই মোতাবেক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। কিন্তু গতকালের গঙ্গাস্নানে যত্রতত্র দেখা গেল কোভিড বিধি ভাঙার চিত্র। দূরত্ববিধি লঙ্ঘন, মাস্ক না ব্যবহার সবই দেখা গেল গঙ্গাসাগরে। প্রশ্ন উঠেছে, এরপর গঙ্গাসাগর মেলা করোনার সুপার স্প্রেডারের ভূমিকা পালন করবে না তো?
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা মানুষদের মধ্যে কোভিড বিধি ভাঙার বেপরোয়া মানসিকতা লক্ষ্য করা গেল। স্থানীয় মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, মেলা শেষ হলে বাইরের লোকজন তো চলে যাবেন, কিন্তু এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের থাকতে হবে। এবার যদি করোনার সংক্রমণ বাড়ে, তখন তাঁরা কোথায় যাবেন! যদিও প্রশাসনের আশ্বাস, এখনও পর্যন্ত নাকি মাত্র এক জনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে। বিলি করা হয়েছে লক্ষাধিক মাস্ক। কিন্তু রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তে যেখানে কোভিড বিধি ভাঙার কারণে অহরহ গ্রেফতার করা হচ্ছে, সেখানে গঙ্গাসাগরে কি তা হল? নাকি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের কারণ দেখিয়ে বেপরোয়া পুণ্যার্থীদের সহায়তা করা হল, এই প্রশ্ন তুলেছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।