শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পরেও মেলেনি রেহাই। ক্রমাগত মিলছিল খুনের হুমকির অভিযোগ। মুক্তি পেতে গায়ে আগুন দেয় তরুণী। বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সেই নির্যাতিতা তরুণী। ফের রাজ্যে চাপানউতোর শুরু ময়নাগুড়ি-কাণ্ড ঘিরে।
ঠিক কী ঘটেছিল? গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে একা থাকার সুযোগে এক তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল এলাকার এক যুবক। ঘটনাটি ময়নাগুড়ির ধর্মপুর এলাকার। ছিঁড়ে দিয়েছিল তরুণীর জামা-কাপড়। চিৎকারে এলাকার লোকজন আসতেই চম্পট দেয় অভিযুক্ত যুবক। ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সেই নির্যাতিতা তরুণীর পরিবার। পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত যুবককে। তবে কিছুদিন পর আদালতে জামিন পায় সেই অভিযুক্ত যুবক। এরপরেই শুরু হয় একের পর এক খুনের হুমকি। না, আর সহ্য করতে পারেনি তরুণী। গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে তরুণী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল দুপুরে একা বাড়িতে গায়ে আগুন দেয় তরুণী। পাড়ার লোকের চিৎকারে সবাই ছুটে আসেন। ততক্ষণে তাঁর শরীরের অন্তত ৬৯ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তৎক্ষণাৎ তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। তাঁর পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক।
পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্রমাগত সেই তরুণীকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। বাদ যায়নি পরিবারের লোকজন। পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেই নির্যাতিতা তরুণী, তেমনই খবর। ঘটনার পর এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গতকাল রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে অজয় রায় নামের এক যুবককে। তাকে জেরা করে তার ভাই বিজয় রায়কেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।