হাঁসখালি কান্ড নিয়ে উত্তাল গোটা বঙ্গ। নিহত নাবালিকার পরিবারকে অহরহ সহমর্মিতা দেখাতে যাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্বরা। মঙ্গলবার হাঁসখালিতে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেখানে গিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে যাচ্ছেতাই তিরস্কার করেন তিনি। বলেন, "আমি জানতে পারলাম, নির্যাতিতার বাবা-মাকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনা নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তাকে সত্যি প্রমাণিত করা জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।" পরিবারটির হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে চলে আসেন।
আর এরপরই অধীরবাবুর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বসেন সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলী মৈত্র। জলনুপুর খ্যাত এই অভিনেত্রী ট্যুইটে লেখেন, "আপনি আগে আপনার স্ত্রী ও মেয়ের মৃত্যুরহস্য সামনে নিয়ে আসুন। সিবিআই তদন্ত চাই.... আপনার মেয়ের মৃত্যুরহস্য উন্মোচন হোক। এক নিদারুণ নির্যাতনে.... কষ্টে, তিলে তিলে আপনার স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন তার সত্যটা সামনে আসুক।"
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে অধীরবাবুর একমাত্র কন্যা শ্রেয়সী কলকাতা এক বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে মারা যান। পুলিশ এবিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে দাগিয়ে দিয়েছে যদিও। অন্যদিকে এরপরপরই আলাদা থাকতে শুরু করেন অধীরবাবু ও তাঁর প্রথম স্ত্রী অর্পিতা চৌধুরী। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে প্রয়াত হন অর্পিতাদেবী। তাদের মৃত্যুর জট খুলতে এবার মরিয়া হয়ে উঠেছেন সদ্য গায়ে রাজনীতির রং লাগা বিধায়ক।
এই ট্যুইট প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায় বলেন, "বিধায়ক হয়েছেন কিন্তু এটা জানেন না, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা প্রশাসন সব আপনাদের হাতে, আপনার দিদিমণিকে বলুন তদন্ত করতে, কমিটি করতে, খোঁজ নিন, আদালতে যান। এখন আপনাদের দিদিমনির দানবী রূপ যত সামনে আসবে, আর ততই আপনারা দাঁত নখ বের করবেন, এ আর নতুন কী! দিদিমণিকে বলুন দীপক ঘোষের বইটা নিয়েও তদন্ত করতে, আদালতে যেতে, যদি সৎসাহস থাকে।"