বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চামড়াপট্টি এলাকার। এই ঘটনায় গৌর দত্ত নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তির স্ত্রীর অভিযোগ, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। আর তারপরেই তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে যদি খুন হয়ে থাকে, তাহলে খুনের প্রকৃত কারণ কী? মৃত গৌর দত্তের পরিবার সূত্রে দাবি, গৌর দত্ত সোনা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পেশায় ছিলেন ট্রাক চালক। ঘটনার দিন সকালে পেট্রাপোল হয়ে ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশ গিয়েছিলেন। বাংলাদেশ থেকে ফেরার সময় নাকি তাঁকে কয়েকটা সোনার বিস্কুট পাচার করতে দিয়েছিল। যদিও গৌর দত্তের পরিবারের দাবি, সেই সোনার বিস্কুটগুলি বাংলাদেশ সীমান্ত গার্ডের জওয়ানরা কেড়ে নিয়েছিল।
ভারতে গাড়ি নিয়ে ফিরে আসার পর তৈরি হয় নয়া সংকট। গৌর দত্তের বাড়িতে একদল মানুষ উপস্থিত হয়। তারা নাকি সোনার বিস্কুট চায়। গৌর দত্ত দিতে না পারায় তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় সেই অজ্ঞাত পরিচয় লোকজনরা। দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায় গৌর দত্তের পরিবারে চাঞ্চল্য ছড়ায়। অনেক খুঁজে না পেয়ে থানায় হাজির হন তাঁরা। অভিযোগ পেয়ে বনগাঁ থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্ধান মেলে গৌর দত্তের। সারা গায়ে আঘাতের চিহ্ন, পরিবার সূত্রে তেমনটাই দাবি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আন্তঃ প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সোনা পাচারের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনার পর এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।