একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিজেপিকে (BJP) বিরাট মার্জিনে পরাজিত করে দেশের মধ্যে মোদি বিরোধী শক্তির প্রধান মুখ হয়ে উঠেছে। জাতীয় রাজনীতিতে মোদির ভিত নাড়িয়ে দেবার ক্ষমতা যে বাঙালি কন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আছে, তা স্বীকার করেন সকলেই। দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল বিজেপির বিজয়রথ আটকানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। গেরুয়াকে থামাতে যেকোনো দলের সাথে জোট প্রস্তুত করতে রাজি বামফ্রন্ট (CPIM)। এমনকি দলের চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Bose) জানিয়েছেন যে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপিকে আটকানোর জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে জোট গঠন করতেও দ্বিধাবোধ করবে না বামফ্রন্ট। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেছেন, "সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এটা বহুবার ঘটেছে, একাধিকবার নয়। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, কচ্ছ থেকে কোহিমা পর্যন্ত কোনো আন্দোলন সংগঠিত করার প্রশ্ন দেখা দিলে বিজেপি বিরোধী সব শক্তির সঙ্গে আমরা একজোট হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত। এরপর আর কোনো কথা আছে?"
একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের জয়ের খাতা খোলেই নি। শূন্য আসন পেয়ে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের নেতারা ভুল স্বীকার করে জানিয়েছিলেন যে "বিজেমূল" তত্ত্ব তাঁদের সর্বনাশের কারণ। এই তত্ত্ব আখেরে পুরো লড়াইটা দ্বিমুখী করে তুলেছিল। সেই "ভুল" থেকে শিক্ষা নিয়ে সম্ভবত বামফ্রন্ট তৃণমূলের সাথে সর্বভারতীয় স্তরে হাত মেলানোর পথ খুলে রাখছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এখন থেকেই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী শক্তি জোট গঠনের কাজে নেমে পড়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আজ অর্থাৎ সোমবার দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে দিল্লি সফরে গিয়ে মোদি বিরোধী শক্তিজোট গঠনে শান দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। প্রশান্ত কিশোরের টিপস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ত্রাসের কারণ হয়ে ওঠার প্রবল সম্ভাবনা দেখছে জাতীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।