কলকাতা নিবাসী ইভেন্ট অর্গানাইজার এক তরুণীকে গনধর্ষণের অভিযোগ উঠল পাটনার এক হোটেলে। পাশাপাশি তরুণীকে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেয় অভিযুক্তরা। ঘটনাটি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। তবে অভিযুক্তরা এখনও ফেরার।
তরুণীর অভিযোগ, একটি বিয়ের অনুষ্ঠান সঞ্চালনার কাজে গত জুলাই মাসে তিনি পাটনায় যান। সেখানেই গনধর্ষণের শিকার হন তিনি। তাঁর অভিযোগ, গত ৩রা জুলাই হোটেলের ঘরে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার মালিক এবং আরও একজন তাঁকে গনধর্ষণ করে। এবিষয়ে পাটনার গান্ধী ময়দান থানায় এফআইআর-ও দায়ের করা হয়। তবে অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করা যায়নি।
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, গত ৩০শে জুন তিনি মুজফফরপুরে একটি ইভেন্টে অংশ নেন। সেই বিয়েরই অন্য ইভেন্টের জন্য ১ ও ২ জুলাই তিনি পাটনায় ছিলেন। সেখানেই একটি বড় হোটেলে চেক-ইন করেন তিনি। ৩রা জুলাই, রাত ১টা নাগাদ সংস্থার মালিক হর্ষ রঞ্জন এবং বিক্রান্ত কেজরিওয়াল তাঁর ঘরে পেমেন্ট দেওয়ার অছিলায় ঢোকে। তরুণী জানিয়েছেন, তাঁর ঘরে ঢুকেই দুই অভিযুক্ত মদ্যপান শুরু করে। এর প্রতিবাদ জানালে অভিযুক্তরা তাঁকে ধর্ষণ করে।
তবে শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষণের খবরটি গোপন রাখার জন্যও তরুণীকে হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। বলা হয়, কাউকে জানালে তরুণীকে প্রানে মেরে দেওয়া হবে। প্রমান লোপাটের জন্য প্রথমে তাঁকে ওয়াশরুমের জলে ফেলে দেওয়া হয় এবং তারপর গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ানো হয় তরুণীকে।
এরপরেই মেডিক্যাল পরীক্ষা করে গান্ধী ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের নির্যাতিতা। জিরো এফআইআর দায়ের করে পাটনা পুলিশকে জানায় যাদবপুর থানাও। তবে এতদিনেও কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ। পুলিশের দাবী, অভিযুক্তরা পলাতক। তবে ইতিমধ্যেই অভিযোগকারিণী এবং হোটেল কর্মীদের থেকে বয়ান নিয়েছেন তাঁরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই সম্পূর্ণ বিপরীত দাবী করেছেন এক অভিযুক্তের স্ত্রী। তিনি বলেছেন, তাঁর স্বামী কোথাও ফেরার হয়ে যাননি। বরং তিনি তাঁর সঙ্গেই আছেন। আরও অভিযোগ করে তিনি বলেছেন, টাকা দেওয়া হয়নি বলে তাঁর স্বামীকে ব্ল্যাকমেল করতেন অভিযোগকারিণী। পুলিশ তাঁদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছে বলেও জানিয়েছেন অভিযুক্তের স্ত্রী।