গতকাল রাতে প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় জলপাইগুড়ির মালবাজারের মাল নদীতে ঘটে বড়সড় বিপর্যয়। আচমকাই হড়পা বানে প্রাণ গেল ৮ জনের। হাসপাতালে ভরতি বহু। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। রাত থেকেই চলে উদ্ধারকাজ। প্রশাসনিক গাফিলতিতেই এমন কাণ্ড বলে অভিযোগ করেছিলেন স্থানীয়রা। তবে সে অভিযোগ খারিজ করে দিলেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার। তাঁর দাবি, যথেষ্ট সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ছিল। তা সত্ত্বেও আটজনের প্রাণহানি নিছক দুর্ঘটনা ছাড়া আর কিছুই নয়।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, "বহুবছর ধরে মাল নদীতে বিসর্জন হচ্ছে। ২০ বছরে কোনও দুর্ঘটনার ইতিহাস নেই। যথোপযুক্ত ব্যবস্থাপনা ছিল। সিভিল ডিফেন্সের অনেকেই ছিলেন। মেডিক্যাল টিম ছিল। ভাসান শুরুর সময় হাঁটুজল ছিল। পূর্বাভাস ছাড়া আচমকাই হড়পা বান আসে। সেই সময় নিরঞ্জন ঘাটে এক হাজারের মতো লোক ছিল। ভেসে যাচ্ছিলেন ২৭-২৮ জন। তাঁদের মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে।" এছাড়াও বর্তমানে আর কেউই নিখোঁজ নন বলেই জানান তিনি।
অন্যদিকে, নিহতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা এবং জখমদের চিকিৎসায় ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন টুইটে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি টুইটে উল্লেখ করেন, এখনও পর্যন্ত ৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। জখম ১৩ জন হাসপাতালে ভর্তি। অন্তত ৭০ জন মানুষকে রাতেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আর কেউ নিখোঁজ নন। নিহতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ এবং আহতদের চিকিৎসায় ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে।