মাওবাদী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে নদীয়া থেকে গ্রেপ্তার জয়িতা দাস (Joyita Das) নামক এক ছাত্রী। ২০১৩ সালে দক্ষিণ কলকাতার চারু মার্কেট থানা এলাকা থেকে এসটিএফের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জয়িতা। আর তিনি নদীয়া থেকে গ্রেপ্তার হলেন গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। পুলিশ সুত্রে খবর, দিনকয়েক আগে ময়দান বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি ব্যাগ মেলে, সেখানে ছিল বেশ কিছু লিফলেট, ডিভিডি, হাতে লেখা পোস্টার ও মাওবাদী পুস্তিকা। পুলিশ সেগুলি তুলে দেন এসটিএফ য়ের কাছে। সেখান থেকে মেলে আরও কিছু নথি। তদন্ত করে দেখা যায়, মুর্শিদাবাদের দুই যুবক রয়েছে এর পেছনে।
সেইমতো মুর্শিদাবাদ থেকে ছেলেদুটিকে পাকড়াও করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় অস্ত্র ও হাতে লেখা পোস্টার। পুলিশ সুত্রে দাবি, কলকাতার পোস্টারের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে এই পোস্টারেরও। সেইমতো তাদের জেরা শুরু করেন কলকাতা পুলিশের এসটিএফ আধিকারিকেরা। সেখান থেকেই উঠে আসে জয়িতার নাম। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) পড়াশোনা করেছেন তিনি। নদীয়ার ছোট জাগুলিয়া একটি নির্দিষ্ট বাড়িতে হানা দিয়ে ঘেরাও করা হয়। আর সেখান থেকেই গ্রেপ্তার হন জয়িতা।
জানা গিয়েছে, মাওবাদীদের মাতঙ্গিনী মহিলা সমিতির নেত্রী ছিলেন জয়িতা। নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের সময় তার নাম প্রথম উঠে আসে। এরপর কলকাতায় মাওবাদীদের ‘মুখোশ সংগঠন’এর আন্দোলন, নোনাডাঙায় জমি আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নেন জয়িতা। আর এভাবেই মাওবাদীদের ছাত্র সংগঠন ইউএসডিএফ-এর সক্রিয় সদস্যা ও ক্রমে নেত্রী হয়ে ওঠেন। জানা গিয়েছে, বহুবার জঙ্গলমহলে গিয়ে মাওবাদী শীর্ষনেতাদের সঙ্গে জয়িতা বৈঠক করেছিলেন। পুলিশের অনুমান, জয়িতার সঙ্গে অন্যান্য পুরোনো মাও নেতাদের যোগাযোগ রয়েছে। জয়িতাকে জেরা করে সেই তথ্য জানার প্রচেষ্টাতেই রয়েছে পুলিশ।