আমফানের (Amphan) স্মৃতি এখনও টাটকা। এর মধ্যেই নতুন আতঙ্ক তৈরি করেছে যশ (Yash)।আবহাওয়াবিদেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, আমফানের মতোই যশ ধ্বংসলীলা চালাতে পারে। গতবারের স্মৃতি মাথায় রেখে আগেভাগেই যশ মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। রবিবার ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় যশ মোকাবিলায় বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে আগে থেকেই প্রস্তুত ভারতীয় সেনা।
আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, শনি-রবিবার আন্দামান সাগর লাগোয়া বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে গভীর নিম্নচাপ। সোমবার এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে। যা পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন, দুই মেদিনীপুর এবং ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা। এই ঘূর্ণিঝড় কোন এলাকায় ল্যান্ডফল তৈরি করবে তা এখনও নিশ্চিত রূপে বলা না গেলেও ভারতীয় সেনা আগে থেকেই তৎপর হয়ে উঠেছে। গতবারে রাজ্যের গড়িমসিতে সেনা নামাতে অনেকটা সময় লেগে যায়। তা নিয়ে অনেক বিতর্কও তৈরি হয়েছিল। এবার এই বিষয়ে বাড়তি নিরাপত্তা দিতে আগে থেকেই প্রস্তুত ভারতীয় সেনা। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, "ওড়িশায় সেনার দুটি কলাম এবং দুটি ইঞ্জিনিয়র টাস্ক ফোর্স তৈরি হয়েছে। আর বাংলায় এই সাইক্লোন মোকাবিলায় প্রস্তুত আট কলাম সেনা এবং একটি ইঞ্জিনিয়র টাস্ক ফোর্স।"
একদিকে কোভিড মোকাবিলা, অপরদিকে যশের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হতে পারে বাংলা। সবদিক খতিয়ে দেখে আগে থেকেই তৎপর প্রশাসন। নবান্নে তৈরি হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যশ মোকাবিলায় কেন্দ্রের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই বৈঠকে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর, টেলিকম বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিত থাকার কথা। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সহ অন্যান্য মন্ত্রী ও আধিকারিকদের উপস্থিত থাকার কথা।