আমফানের (Amphan) ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের (Yaas) ক্ষতিপূরণ বিলিতে যথেষ্ট সতর্ক থাকছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণ বিলির প্রথম ৫ দিনে প্রায় ২৩ কোটি টাকা পাঠিয়েছে যোগ্য আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তার জন্য সময় নিয়ে যথেষ্ট ঝাড়াই বাছাইয়ের পর ক্ষতিপূরণ পাঠানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমফানের সময় সরকার তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে যে ভুল করেছিল, এবার সে ব্যবস্থায় ইতি টানতে যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে বেশ কয়েক বার খতিয়ে দেখার পর ক্ষতিপূরণের অর্থ মিলছে বলে সূত্রের খবর।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ক্ষতিপূরণ বিলির প্রথম ৫ দিনে অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৮ জেলার মোট ৩০,৩৯৫ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২৩ কোটির কিছু বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এই ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন, তাঁদের ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর রিপোর্ট দেখে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেক্ষেত্রে আমফানের মতো তাড়াহুড়ো নয়, বরং ঢিমেতালে হাঁটছে সরকার। যাতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষতিপূরণ নিয়ে কোন বিতর্ক না হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিপূরণ পেয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই জেলার ১৬,৮৯৫ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ১৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগণার ৭৮০২ জন উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে প্রায় ৭ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। এইভাবে ৮ জেলায় প্রাথমিক পর্যায়ে ক্ষতিপূরণ দানের কাজ করেছে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক পর্যায়ে যে সমস্ত উপভোক্তার মাছের ভেড়ি, পানের বরোজ, ফসল কিংবা বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের হাতে ত্রাণ তুলে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে গোল বেঁধেছে গবাদি পশু মৃত্যুর তালিকায়। এই নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে দেওয়া তথ্য কোনো ভাবেই মিলিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে 'দুয়ারে ত্রাণ' কর্মসূচির মাধ্যমে জমা পড়া আবেদনের যাচাই প্রক্রিয়া যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে চলছে বলে সূত্রের খবর।