পুজোর মরসুমে এলাকা দখল ঘিরে দুই জেলার ধুন্ধুমার কাণ্ড। ওয়াকিবহাল মহলের কথায়, মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটছে। চলল মুড়িমুড়কির মতো বোমাবাজি। আহত বেশ কয়েকজন। এলাকায় দুই দলের কার পেশি শক্তির জোর বেশি, তাই নিয়েই রাতভর চলল এমন তাণ্ডব। সাক্ষী হল গোটা এলাকার মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাত থেকেই উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগণার উস্থি থানার দেউলা এলাকা। এলাকায় কার আধিপত্য বেশি থাকবে এ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দু'পক্ষের মধ্যে বিতর্ক বহুদিনের। শনিবার রাতে সেই বিতর্ক চরমে পৌঁছে যায়। প্রথমে শুরু হয় বচসা, এরপর ধীরে ধীরে সেই বচসা পৌঁছায় হাতাহাতিতে। এরপর এলাকায় চলতে থাকে মুড়িমুড়কির মতো বোমাবাজির ঘটনা। অচিরেই এলাকার পরিস্থিতি চরমে পৌঁছে যায়। আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বচসার আঁচ রবিবার সকাল পর্যন্ত চলতে থাকে বলে সূত্রের খবর।
এই ঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর। এরমধ্যে ৩ জন মহিলা। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে বেশ কয়েকজনের মাথা ফেটেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে ওই এলাকার একজন শিক্ষক আহত হয়েছেন বলে খবর। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, "এমন ঘটনা অহরহ ঘটতেই থাকে। এলাকা দখল ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেসের দু'পক্ষের লোকজন বারবারই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুজোর মধ্যেই এমন ঘটনায় এলাকার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।"
অন্যদিকে, এই শনিবারই গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দুর্গাপুর। বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যেই অশান্তি চরম আকার ধারণ করে। তুমুল অশান্তির জেরে গুরুতর আহত হয়েছেন শাসকদলের এক নেতা বলে সূত্রের খবর। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার সকালেই। স্থানীয় এক পুজো কমিটির বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান ঘিরেই তৈরি হয় অশান্তি। কারা এই বস্ত্র বিতরণের দায়িত্ব পাবে, তা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। সেই বিবাদ গড়ায় সন্ধ্যা পর্যন্ত। যার জেরে সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের টাউনশিপে শুরু দু'পক্ষের মধ্যে তীব্র চাপানউতোর। কথা কাটাকাটি গড়ায় হাতাহাতিতে। যার জেরে একজন আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী।