অবশেষে আজ রাজ্যে (West Bengal) স্কুল (School) খোলা (Reopen School) নিয়ে কাটল আইনি জট। কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata HighCourt) স্কুল খোলার বিপক্ষে জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে, সাফ বলেন, রাজ্যের নির্দেশ মতোন নভেম্বরেই (November) সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে খুলবে স্কুল-কলেজ।
এরপরেই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই খুশির আবহাওয়া। খুলবে ক্যাম্পাস, মিলবে প্র্যাক্টিক্যালের সুবিধা। এতে ফের আশার আলো পড়ুয়াদের চোখে। তবে এক্ষেত্রে ফের উঠছে বিড়ম্বনা। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে চাইলেও, স্কুল খোলার বিপক্ষে অনেকেই। তাঁদের মত, স্কুল পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। তাদের বোঝার বয়স হয়নি। কোন স্কুলে কেমন পরিকাঠামো তাও জানা নেই অভিভকদের। আদৌ পড়ুয়ারা কতখানি কোভিড বিধি মানবে, তা নিয়েই চিন্তিত অনেকে। এক্ষেত্রে উপযুক্ত পরিকাঠামোর আশ্বাস থাকলে, চিন্তামুক্ত হওয়া যেতে পারে।
তবে এমন প্রশ্নের হিড়িকে, অবশেষে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যকেই অগ্রাধিকার দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট দাবি, "স্কুলে আসা নিয়ে কোনও রকম জোরাজুরি করা হবে না। অভিভাবকরা চাইলে তবেই স্কুলে আসবে পড়ুয়ারা। স্কুলে আসা বাধ্যতামূলক নয়।"
তবে কলেজ? বিশ্ববিদ্যালয়? এনিয়ে স্পষ্ট কিছু শোনা যায়নি। তবে বহু কলেজেই ইতিমধ্যেই নোটিশ জারি করে বলা হয়েছে, বেসরকারি অধিকাংশ কলেজেই থিওরি এবং প্রাক্টিক্যালের জন্য কলেজ খোলার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তবে সরকারি অনেক কলেজেই দেখা গেছে, শুধুমাত্র কলেজে এসে প্রাক্টিক্যাল ক্লাস করার কথাই বলা হয়েছে। অনেক কলেজে সপ্তাহে তিনদিন আবার কোনও কলেজ সপ্তাহে মাত্র একদিন অফলাইনে ক্লাস করানোর কথা বলা হয়েছে। আবার বহু কলেজ এখনও স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করে উঠতে ব্যর্থ। তবে কোথাও তিনদিন, কোথাও একদিন! এভাবে অফলাইনে ক্লাস চললে, কীভাবে আসন্ন সেমেস্টার অফলাইনে পরীক্ষা দেওয়া যাবে? তা নিয়ে কাজ করছে বিড়ম্বনা। কাজেই, চরম ভোগান্তির মুখে পড়ুয়ারা।