রবিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ইছাপুরে এক বৃদ্ধাকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিক সন্দেহ ছিল, ডাকাতি করতে বাধা দেওয়ায় খুন (murder) হতে হয় বৃদ্ধাকে। যদিও দুদিনের মধ্যেই খুনের কিনারা করল পুলিশ। জানা গেল, ডাকাত নয়, বৃদ্ধাকে কে খুন করে তাঁরই এক পূর্বপরিচিত। আর্থিক বিবাদের জেরেই খুন করা হয়েছে বৃদ্ধাকে, এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার রাতে ইছাপুরের নতুনপাড়ার বাসিন্দা সিক্তা চট্টোপাধ্যায় নামে এক বৃদ্ধাকে খুন করা নিয়ে এলাকায় ছড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ডাকাতি করতে এসে বৃদ্ধার কাছে বাধা পেয়ে তাঁকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বৃদ্ধার দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে।
এদিকে তদন্তে নেমে অঞ্জন চৌধুরী নামে বৃদ্ধা এক পরিচিতের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। মঙ্গলবার গারুলিয়া থেকে পাকড়াও করা হয় অঞ্জনকে। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে ধৃত।
প্রাথমিক জেরায় জানা গিয়েছে, ট্রেন দুর্ঘটনায় পা বাদ যায় অঞ্জনের, যা প্রতিস্থাপন বাবদ খরচ ছিল কুড়ি হাজার টাকা। সিক্তাদেবী সেই টাকা অঞ্জনকে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। সেজন্যেই মাঝেমধ্যে বৃদ্ধার বাড়িতে আসতো ওই ব্যক্তি। রবিবারও সে এসে টাকা দাবি করে। কিন্তু বৃদ্ধা টাকা দিতে অস্বীকার করায় দুজনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। জানা গিয়েছে, শাড়ির আঁচল দিয়ে বৃদ্ধার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করে অভিযুক্ত। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁকে ফল কাটার ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। পুলিশি জেরায় সমস্ত কথা স্বীকার করে অঞ্জন। আজ অভিযুক্তকে তোলা হবে বারাকপুর মহকুমা আদালতে। তাকে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের জন্য আর্জি জানাবেন তদন্তকারীরা।