মঙ্গলবারই কোচবিহারে জনসভা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আজ জনসভা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহার উত্তর এবং শীতলকুচিতে জনসভা করেন। আর দু'টি জনসভায় বিজেপির কঠোর সমালোচনা করেন। গতকালই প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, "মিথ্যার খেলা শেষ করতে চলো পাল্টাই। কাটমানির খেলাকে বিদায় দাও। তৃণমূলকে দাও বিদায়, চলো পাল্টাই। " এদিনের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এরা এত মিথ্যা কথা বলে?" বলেই নারায়ণী ব্যাটেলিয়নের কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী নারায়ণী ব্যাটেলিয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু বাস্তবে তা করেননি বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। হাতে তথ্য জানার অধিকার আইনের (আরটিআই) কপি নিয়ে অভিযোগ করেন বাস্তবে কেন্দ্র সরকার এ বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেয়নি। তিনি বরং পাল্টা বলেন, "আমি নারায়ণী ব্যাটেলিয়ন করেছি। ওতে ৩ হাজার চাকরি হবে।"
মুখ্যমন্ত্রী এদিনের সভায় আবারও অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে কাজ করছে। এ প্রসঙ্গে ছত্তিসগড়ের বিজাপুর সুকমার প্রসঙ্গ এনে বলেন, ওখানে সেনাদের কি হল? রাজ্যের নির্বাচনে মহিলারা যাতে ভোট দিতে না পারেন তার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, "মেয়েরা যাতে ভোট দিতে না পারেন গ্রামে গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে দাঁড়িয়েছে। বলছে ভোট দেওয়া যাবে না।"
আরামবাগের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খাঁর উপর নিগ্রহের উপর সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিভাবে মহিলাদের উপর অত্যাচার, হামলা করা হচ্ছে সে বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, "আরামবাগে এত অত্যাচার করেছে, সুজাতা মণ্ডলকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়েছে। বুথ প্রেসিডেন্টকে খুন করেছে।" বিজেপি যে সারা রাজ্যে ভয় দেখিয়ে ভোট করাতে চাইছে তার অভিযোগ করেছেন তিনি। "শাসন করতে হয়। আমাকে শাসন করলে, আমি তোমায় শোষণ করব না। পাল্টা শাসন করব। আমি বন্দুক দিয়ে লোক খুন করব না, বোমা মারব না। মানুষকে বোঝাব, আপনার একটা ভোটের দাম বন্দুক এবং বোমার থেকে অনেক বেশি।"
এদিনের সভায় গত কয়েক বছরের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর বিজেপির মিথ্যাচারের কঠোর সমালোচনা করেছেন। ভোট বাজারে মুখ্যমন্ত্রীর আজ জনসভা যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ , তা রাজনৈতিক বিশ্লেষক একাংশের মত।