গতকাল ত্রিপল চুরির অভিযোগে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ উঠতেই তাঁকে দিল্লিতে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এমনকী জল্পনা শুরু হয়েছিল বিরোধী দলনেতা পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। কারণ, রাজ্যে শুভেন্দুই মুখ হয়ে উঠছেন গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু তাতে দলের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে। এমনকী দলের একাংশ শুভেন্দু অধিকারীর ওপর অসন্তুষ্ট। কারণ চুরি, প্রতারণার মামলায় ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছে তাঁর নাম।
এরপর এ বিষয়ে মুখ খোলেননি শুভেন্দু। বরং সকালে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের শেষে তিনি বলেন, রাজ্যের প্রশাসন সংবিধান মেনে কাজ করছে না। অভিযোগ জানিয়েছি। অমিত শাহ বাংলার পাশে আছেন। তবে এরপরেই চাপের মুখে পড়ে অবশেষে মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ত্রিপল চুরি নিয়ে মঙ্গলবার দিল্লি থেকেই তিনি বলেন, "আমার এত দুর্ভাগ্য হয়নি যে ত্রিপল চুরি করতে যাব। এফআইআর দায়ের যে কেউ করতেই পারে। আইনি পথে তার জবাবও দেওয়া হবে।"
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই কাঁথি পুরসভা থেকে ত্রিপল চুরির অভিযোগ উঠেছে শুভেন্দু ও সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ দায়ের করেছেন কাঁথি পুরসভার পৌর-প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রত্নদ্বীপ মান্না। তাঁর অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর নির্দেশেই গত ২৯ মে পুরসভার গুদামে একটি ছোট লরিতে করে পাঁচজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ান আসে। আর ত্রাণের জন্য রাখা লক্ষাধিক টাকার ত্রিপল লুঠ করে। এই কজে সাহায্য করেন পুরসভার দুই কর্মচারী, হিমাংশু মান্না এবং প্রতাপ দে।
যদিও গতকাল দিলীপ ঘোষ এ বিষয়ে বলেন, "নন্দীগ্রামের হার হজম করতে না পেরে, শুভেন্দুকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে। যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে এসেছেন, তাঁদের বদনাম করা হচ্ছে।"