উত্তরবঙ্গ সফর শেষে কলকাতায় ফেরার আগেই জিটিএ-কে ‘দুর্নীতির আখড়া’ বলে চিহ্নিত করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। CAG অডিট করানোর কথাও বলেছিলেন। এবার আজ বিধিনিষেধ শিথিল করার সাংবাদিক বৈঠকে তারই জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বললেন, "উনি নিজেই বড় দুর্নীতিগ্রস্ত। হাওয়ালা জৈন কাণ্ডের চার্জশিটে কার নাম উল্লেখ ছিল? তারপর কীভাবে পার পেয়েছেন? হাওয়ালা জৈন কাণ্ডের চার্জশিটে তো ওঁর নাম ছিল। উনি কত বড় দুর্নীতিগ্রস্ত, তা দেখা হোক আগে। ওঁরই তদন্ত প্রয়োজন আগে। আমি এমন রাজ্যপাল দেখিনি আগে কখনও। জিটিএ-র দুর্নীতির কথা বলার আগে উনি কাদের নিয়ে, কত খরচ করে দার্জিলিং গেলেন, রাজভবনে কত খরচ হল, সেসব নিয়ে তদন্ত হোক।"
এরপরই ফের রাজ্যপালের অপসারণের দাবি তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ”যতদিন এ রাজ্যের দায়িত্বে রয়েছেন, ততদিন কাজ করব একসঙ্গে। এটা সৌজন্য, কর্তব্য। ওঁকে সরানোর জন্য তিনটে চিঠি দিয়েছি কেন্দ্রকে। তাদের এবার বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত বলে মনে হয়। এখনও কেন্দ্রের তরফে কোনও উত্তর পাইনি।”
অন্যদিকে আজ প্রথম কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে (Kasba Fake Vaccine Case) মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুঃখ প্রকাশ করে বললেন, "টিকাপ্রাপ্তদের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষজ্ঞ কমিটি খেয়াল রাখা হচ্ছে। মিমির সঙ্গেও কথা হয়েছে। শারীরিক অবস্থা আগের থেকে কিছুটা ভাল আছে ওর। মিমির আগে থেকেই গলব্লাডারের সমস্যা ছিল। তাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।"
পাশাপাশি এই ঘটনায় ধৃত দেবাঞ্জন দেবকে ‘জঙ্গির থেকেও ভয়ংকর’ বলে কটাক্ষ তাঁর। বললেন, "এত বড় সাহস। এত ঔদ্ধত্য হয় কী করে? সাধারণ মানুষ, সহজ সরল মানুষদের অনেকে চিটফান্ডের নামেও বোকা বানায়। কিছু মানুষ দেখতে সুন্দর, সেজে গুজে থাকে। প্রতারণা করে। তাদের আমি মানুষ বলে মনে করিনা। অমানুষ বলেও মনে করিনা। এদের সমাজে থাকার কোনও যৌক্তিকতা নেই। মানুষের জীবন নিয়ে যারা খেলে তারা জঙ্গিদের থেকেও ভয়ংকর। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যারা সাহায্য করেছে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এর সঙ্গেই তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে দেবাঞ্জনের ছবি এবং রবীন্দ্র ফলকে দেবাঞ্জনের নাম থাকার ইস্যুকে কেন্দ্র করে মুখ্যমন্ত্রীর সাফ বক্তব্য, "অনেকেই সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে নেয়। বিমানে দূর থেকে বসেও ছবি তুলে নেয়। ছবি দেখিয়ে কিছু হবে না। ফটোশপ করে কোনও লাভ নেই। ছবি তুলে কাজে লাগায় প্রতারকরা। বলে আমি চিনি। এরা ঠগবাজ মনে রাখতে হবে। এছাড়া কোন এলাকায় কে কী ব্যবসা চালাচ্ছে সেদিকে পুলিশ এবং পুর কর্তৃপক্ষকে নজর রাখা উচিত।