ফের তৃণমূল বিজেপি ইস্যুতে সরব নন্দীগ্রাম। বছরান্তে শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রামের র্যালিতে পৌঁছনোর আগে বাস ভর্তি মানুষের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাতে শতাধিক মানুষ আহত হন, আহতদের উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, দাবি বিজেপির। আর সেই দিনই ফের বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ ওঠে, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করার।এতেই ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নন্দীগ্রাম।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারীর অরাজনৈতিক র্যালিতে যোগ দিতে আসছিলেন বহু মানুষ। সেখানেই বাস আটকে তাদের উপর হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। স্বাভাবিকভাবেই এই হামলার তীর এসে পড়ে তৃণমূলের উপরেই। যদিও, এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে নেয় তৃণমূল।
এই ঘটনার পরেই, ওইদিন রাতেই তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে একদল মানুষ। এখানেও স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির দিকে তীর গেলেও, বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করে নেয়।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ হাবিবুর বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী বলে গিয়েছিলেন এদিন সন্ধ্যায় তিনি আবার নন্দীগ্রামে আসবেন। তাঁর জন্যই অপেক্ষা করছিল কিছু বিজেপি কর্মী। তিনি না আসায় তারা মদ্যপ অবস্থায় উত্তেজিত হয়ে মহম্মদপুরের তৃণমূল কার্যালয় ভাঙচুর করে। শুভেন্দু অধিকারীর উস্কানি এবং তাঁর নির্দেশেই এই কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে।"
আর এই অভিযোগ উড়িয়েই বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, ‘‘তৃণমূলের এখন লোক নেই। রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। তাই নিজেদের পার্টি অফিস নিজেরাই ভেঙে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে বিজেপি কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে।"
এরপরেই সুর চড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, "আমরা গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদ করবো। নন্দীগ্রাম ভারতবর্ষের বাইরে নয়। বাংলার বাইরে নয়। যারা বাধা দেবে, বিগত দিনে জমিরক্ষার আন্দোলনে যে ভাবে লড়েছি ভবিষ্যতেও মানুষের অধিকার রক্ষার লড়াইতে একইভাবে যুবক-যুবতীদের নিয়ে লড়বো। পুলিশ আগে দলদাস ছিল, এখন ক্রীতদাস।’’