"বাংলা মিডিয়ামে পড়া কোনও ছাত্র কী ইন্টারভিউ ক্রাক করতে পারবে? ভালো কর্পোরেট হাউসে কাজ পাবে? আমার তো মনে হয়, পাবে না।" ঠিক এমনই একটি কথা হিল্লোল তুলেছে গোটা রাজ্যে। সরব হয়েছেন অধিকাংশ মানুষ। বর্তমানে "বাংলা মিডিয়াম"-এর ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। এই আবহেই "বাংলা ভাষা" নিয়ে তৎপর তৃণমূল (Trinamool Congress)। গতকাল তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় এক প্রস্তাবে সংসদে বলেছিলেন, কলকাতায় ভবিষ্যতে যে মেট্রো রেল স্টেশনগুলি তৈরি হবে, সেগুলিতে বাংলা সাইনবোর্ড রাখা হোক।
এবার "বাংলা সিনেমা" নিয়ে সরব নবান্ন। গত তিন বছরে রাজ্যের সিনেমা হলগুলিতে ক’টি বাংলা ছবি দেখানো হয়েছে, এবার তার রিপোর্ট চাইল নবান্ন। সূত্রের খবর, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
১৯৫৪ সালের পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র (নিয়ন্ত্রণ) আইন বলছে, রাজ্যের প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহে বাংলা সিনেমার (Bengali Films) প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। তবে অনেকক্ষেত্রেই তা মানা হয় না। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে, বলিউড-হলিউডের ভিড়ে জায়গা পাচ্ছে না বাংলা ছবি। হিন্দি ও ইংরাজি ছবির থেকে আয়ও বেশি। এখন সেই তালিকায় আবার ঢুকে পড়েছে দক্ষিণী ছবিও, তাই নিয়ম মানতে মাল্টিপ্লেক্সগুলিতে বাংলা ছবির স্ক্রিনিং হলেও, বেশিদিন ধরে চলে না। কাজেই এবার হাতে কলমে রিপোর্ট চাইল নবান্ন। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত রিপোর্টের জন্য রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের তরফে বাংলার সব মাল্টিপ্লেক্স ও সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমা হলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ২০১৯ সালের পয়লা এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোন হলে, ঠিক কতগুলি বাংলা সিনেমা প্রদর্শিত হয়েছে, তা জানাতে হবে মাল্টিপ্লেক্স ও সিঙ্গল স্ক্রিনের মালিকদের।