শেষ রক্ষা হল না। লড়াই শেষ করে অগ্নিদগ্ধ হয়ে শেষমেশ মৃত্যু হল শিশুকন্যা-সহ মণ্ডলপাড়ার গৃহবধূর। গতকাল খবর এসেছিল, মহেশতলা থানার রায়পুরের মণ্ডলপাড়া এলাকার বাসিন্দা ডালিয়া মুফতি (২২), তাঁর ছোট মেয়ে (দেড় বছর) সহ অগ্নিদগ্ধ হন তিনি। কোনওরকমে আগুন নিভিয়ে তাঁদের এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় ডালিয়ার স্বামী রহমান মুফতিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে কন্যাসন্তানকে নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই গৃহবধূ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির একতলায় দু’টি পাশাপাশি ঘরে থাকতেন ডালিয়া এবং তাঁর শাশুড়ি। সপরিবারে দোতলায় থাকতেন অভিযুক্ত স্বামীর তিন দাদা। ডালিয়ার শাশুড়ি অসুস্থ থাকায় তিনি অনেক দিন ধরেই শয্যাশায়ী। ডালিয়ার দুই মেয়ে, একজন পাঁচ বছরের। অপরজনের বয়স দেড় বছর মাত্র। পাঁচ বছরের বড় মেয়ের সামনেই ছোট মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন ডালিয়া। বড় মেয়ে ছুটে গিয়ে ডালিয়ার শাশুড়িকে সব বলতেই, শুরু হয় চেঁচামেচি। নাতনির মুখে সব শুনে বাকি ছেলেদের ডাকেন তিনি। বিপদ আঁচ করে দোতলা থেকে ছুটে আসেন রহমানের তিন দাদা। চলে আসেন প্রতিবেশীরাও। হাসপাতালে নিয়েও হয়নি লাভ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ডালিয়া এবং তাঁর মেয়ের শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
মৃতার পরিজনদের অভিযোগ, বিয়ের দু’বছর পর থেকে প্রায়ই মত্ত অবস্থায় স্ত্রীর উপরে অত্যাচার চালাত রহমান। দিনের পর দিন মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই ডালিয়া আত্মঘাতী হয়েছে। প্রতিবেশি সূত্রের খবর, বর্তমানে ডালিয়ার বয়স ২২, আট বছর আগেই নাকি দেখাশোনা করে বিয়ে হয়েছিল ডালিয়ার।