কিছুদিন আগেই ঝাড়গ্রামে এসে জনসভা করে প্রচার চালান ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এই প্রচারকে মোটেও ভালো চোখে দেখেনি তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন হেমন্ত সোরেনের ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) যদি বাংলায় প্রার্থী দেয় এবং স্বতন্ত্রভাবে বাংলার শাসকদলের বিরুদ্ধে লড়ে, তাহলে ঝাড়খন্ডের নির্বাচনেও প্রার্থী দেবে তৃণমূল। ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে হেমন্ত সোরেন অধিষ্ঠিত হওয়ায় প্রথম অভিনন্দন বার্তা আসে মমতার থেকে এবং হেমন্তের এই কেন্দ্রীয় শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইকে পূর্ণ সমর্থনও জানান মমতা, তা সত্ত্বেও তৃণমূলের পাশে দাঁড়ানোর বদলে বাংলায় এসে হেমন্তের এহেন প্রচার স্বভাবতই ক্ষোভের কারণ হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে এবার সেই সমস্যা একেবারে নির্মূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে এবারের বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেবেনা জেএমএম।
গতকালই ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো হেমন্ত সোরেন তৃণমূল সুপ্রিমোকে এ ব্যপারে আশ্বস্ত করেন। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পর্যুদস্ত করার জন্য সোরেনদের সমর্থন চেয়েছিলেন মমতা, যে অনুরোধ মেনে নিয়েছেন তাঁরা।
যদিও ২০১৯ এ ঝাড়খন্ডের বিধানসভা নির্বাচনে বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থী দাঁড় করান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেমন্তের নিজের কেন্দ্র বরহেটেও তার বিপক্ষে লড়ে তৃণমূল প্রার্থী, যদিও ফলাফলে ডাহা ফেল করেন তিনি। কিন্তু এবারে জেএমএম তৃণমূলকে সমর্থন করায় ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বীরভূমের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে তৃণমূলকে পুষ্ট হবার সুবর্ণ সুযোগ দিলেন হেমন্ত সোরেনরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজেপিকে ঠেকাতে এবারের নির্বাচনে ইতিমধ্যেই শারদ পাওয়ারের এনসিপি, লালুপুত্র তেজস্বী যাদবের আরজেডি, অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি এবং উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা পুরোদমে সমর্থন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।