ভয়াবহ ধর্ষণের বিবরণ দিতে 'দিল্লির নির্ভয়া' কিংবা 'উত্তরপ্রদেশের হাথরাস'-এর উদাহরণ টানতে হবে না বাংলায় (West Bengal)। রাজ্যে এখন শান্তি উধাও, নির্ভয়ে গুলি করে কাউন্সিলর খুন, ধাক্কা মেরে ছাত্রনেতা খুন, ভোট পরবর্তী হিংসা, গনহত্যা, চাকরির দাবিতে মৃত্যু আর ধর্ষণ কিংবা শ্লীলতাহানি? এ এখন নিত্য দিনের ঘটনা। মালদহ, মাটিয়া, হাঁসখালির পর আজ ফের শিরোনামে "ধর্ষণ কান্ড"। এবার দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার তেঁতুলতলা গ্রামে। বর্তমানে জখম অবস্থায় নির্যাতিত ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য রায়গঞ্জ জেলা গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত মোজাফফর আলি।
অন্যদিকে, রাজ্যে কার্যত আগুন জ্বলছে হাঁসখালির ধর্ষণ কান্ডকে ঘিরে। এই ঘটনায় হাঁসখালিতে ১২ ঘন্টার বনধ ডেকেছে BJP, এবার হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। এই একই ঘটনায় দায়ের হয়েছে আরও একটি মামলা। সোমবার দুটি মামলার আবেদনই গ্রহণ করেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে মূল অভিযুক্ত অর্থাৎ তৃণমূল নেতার ছেলে। এ ধৃতকে রানাঘাট আদালতে পেশ করার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অভিযুক্ত জানায়, "আমার বার্থডে পার্টি ছিল। কিন্তু আমি কিছু করিনি, আমার সঙ্গে ওর সম্পর্ক ছিল, তাই পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করেছে।" রবিবার রাতভর জেরা করা হয় তাকে।
অন্যদিকে নির্যাতিতার মায়ের আজ গোপন জবানবন্দি পুলিশ। পাশাপাশি কীভাবে ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই দেহ দাহ করা হল, তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, রবিবার রাতে মেয়ের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের সময়ে যে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা, তাঁর সঙ্গেও কথা বলতে চান তদন্তকারীরা।
পুলিশের অনুমান, চিকিৎসক নিশ্চয় রোগী দেখে বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁর সঙ্গে কী হয়েছে। তারপরও তিনি কেন রোগীকে ফেরত পাঠিয়েছিলেন? কেন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেননি? কেন পুরো বিষয়টি চেপে গিয়েছিলেন তিনি? এসব প্রশ্নের জবাব চাইতেই কার্যত জেরার মুখে পড়েছেন ওই চিকিৎসক।