হাঁসখালির ধর্ষণ কান্ডে ফুঁসছে আমজনতা। রাজ্য থেকে রাজনীতি, আঁচ পড়েছে সর্বত্র। শুধু হাঁসখালি নয়। মালদহ, মাটিয়া, রায়গঞ্জ একের পর এক ধর্ষণের অভিযোগে কার্যত ক্ষুব্ধ বিরোধীদল। এই ইস্যুতে হাঁসখালিতে গতকাল ১২ ঘন্টার বনধ ডেকেছিল বিজেপি। সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মুখ্যসচিবের কাছে তলব করেছেন রিপোর্টও। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে দুটি জনস্বার্থ মামলার আবেদনও জমা পড়েছে।
গতকাল বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আপনি রেপ বলবেন, না কি প্রেগনেন্ট বলবেন, না কি লাভ অ্যাফেয়ার বলবেন? নাকি শরীরটা খারাপ ছিল, না কি কেউ ধরে মেরেছে। মেয়েটার লাভ অ্যাফেয়ার ছিল শুনেছি।"
মুখ্যমন্ত্রীর এহেন বক্তব্যের পরেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। নেট মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে হাঁসখালি ধর্ষণ কান্ড নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ সমাজের সুপরিচিত এবং স্বনামধন্য ব্যক্তিরা। যদিও প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, "হাঁসখালির ধর্ষণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী যে ধরনের আপত্তিকর এবং অসংবেদনশীল মন্তব্য করেছেন, তা অভাবনীয়।"
প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় আরও এক যুবককে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী অফিসার। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নির্যাতিতার বাড়িতে উপস্থিত হয়েছেন মহুয়া মৈত্র। সেখান থেকে তাঁর বার্তা, "দল এই সমস্ত ঘটনাকে সমর্থন করে না।" এদিন বিকেল তিনটের সময় নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করবে বিজেপির পরিষদীয় দল। আর তার আগে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, "যদি নির্যাতিতার পরিবার চায় সিবিআই তদন্ত হোক, তাহলে আমরা তাঁদের সবরকম সহযোগিতা করব মামলার বিষয়ে। আমার মনে হয় সিবিআই তদন্ত চাওয়া উচিত।"