হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডে (Hanskhali Rape Case) আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম প্রভাকর পোদ্দার। ঘটনার মূল অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালি ওরফে সোহেলের বন্ধু তিনি। সূত্রের খবর, ঘটনার সময় সেই জন্মদিনের পার্টিতে ধৃত প্রভাকর উপস্থিত ছিলেন। সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রভাকরের কথা জানতে পারে পুলিশ। আর প্রেক্ষিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ড নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি সরগরম। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পর সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে একাধিক বক্তব্য উঠে এসেছে। পাশাপাশি মূল ঘটনাকে কেন্দ্র করে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোটা ঘটনায় অত্যন্ত সক্রিয়তার সঙ্গে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশি তদন্তে ধর্ষণ নাকি গণধর্ষণ সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল ছিল সেই বীভৎস জন্মদিনের পার্টি। সেখানেই নাকি সেই কিশোরী ধর্ষিতা হয়েছেন। তারপর দীর্ঘক্ষণ রক্তক্ষরণের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে একাংশ দাবি করেছেন। পাশাপাশি আর এক অংশের দাবি, স্থানীয় তৃণমূল নেতা ধৃত সোহেল গয়ালির বাবা সমর গয়ালির ভয়ে মৃতার পরিবারের লোকজন মুখ খুলতে পারেননি। বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই তড়িঘড়ি সেই কিশোরীর দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য।
অভিযোগ দায়ের করার পরেই মূল অভিযুক্ত সোহেল গয়ালিকে গ্রেফতার করা হয়। রানাঘাট আদালত তাঁকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। মূল অভিযুক্তকে জেরা করতে গিয়ে এই প্রভাকর পোদ্দারের নাম উঠে এসেছে। তাঁকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ঘটনা চাউর হতেই সোহেল গয়ালির বাবা-মা বেপাত্তা। তাঁদের এখনও কোন হদিশ পাওয়া যায়নি।