গত বছর বীরভূমের মহম্মদবাজারে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি তৈরির দায়িত্ব পেয়েছে রাজ্য সরকার৷ এখানে পাঁচটি পঞ্চায়েত এলাকায় এগারোটি মৌজার মাটির নিচে রয়েছে বিপুল পরিমাণ ‘কালো সোনা’–র ভাণ্ডার৷ মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, এলাকার মানুষকে সম্পূর্ণ পুনর্বাসন দিয়ে তবেই কয়লাখনি তৈরির কাজে নামতে চায় সরকার৷ সেই লক্ষ্যেই বুধবার শুরু হল ‘সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন সমীক্ষা’র কাজ৷
খনি তৈরির দায়িত্বে থাকা নোডাল এজেন্সি রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম একটি বেসরকারি সংস্থাকে নিয়োগ করেছে সমীক্ষার কাজে৷ এদিন নিশ্চিন্তপুর মৌজায় কাজ শুরু করেন কর্মীরা৷ ৮০টি প্রশ্ণমালা নিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা৷ এর আগে এলাকার মানুষকে বিষয়টি বোঝানোর কাজ হয়েছে৷ পুনর্বাসন প্যাকেজ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই সমীক্ষার৷ জেলাশাসক জানিয়েছেন, সমীক্ষার তথ্যের প্রতিলিপি সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলিকে দেওয়া হবে, যাতে খনি তৈরি ও পুনর্বাসন নিয়ে কোনও ভুল–বোঝাবুঝি না হয়৷ তথ্য নিয়ে কারও আপত্তি থাকলে, ব্লক বা জেলা প্রশাসনকে জানানো যাবে৷