ঘূর্ণিঝড় যশে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। কিন্তু সেই বৈঠকে অংশ না নিয়ে তিনি চলে গিয়েছিলেন। এই নিয়ে এবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায় সরব হলেন রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর (Jagdeep Dhankhar), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) সহ আরো অনেকে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা (JP Nadda) এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কাঠামোর অবমাননা করার অভিযোগ এনেছেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরে কলাইকুন্ডায় নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে যশের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু পর্যালোচনা বৈঠকে অংশ না নিয়ে তিনি পূর্ব মেদিনীপুরে তার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে চলে গিয়েছিলেন। মমতার অনুপস্থিতি নিয়ে অমিত শাহ টুইটারে লিখেছেন, "মুখ্যমন্ত্রীর আজকের আচরণ অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং নিম্ন স্তরের আচরণ। যখন ঘূর্ণিঝড় যশ বহু নাগরিকের উপর প্রভাব ফেলেছে তখন এটাই সময় নাগরিকদের সাহায্য করার। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের অহংকারের বশে নিজেকে জনস্বার্থের ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন। এই একই রকম টুইট করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নড্ডা , শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
রাজ্যপাল লিখেছেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং তার আধিকারিকরা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেননি। এটি আসলে সংবিধান এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে বয়কট করার একটি নজির। তার পাশাপাশি মমতা রাজ্য এবং জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন করেছেন বলেও অভিযোগ রাজ্যপালের। শুভেন্দু লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর এটি একটি অত্যন্ত কালো দিন। সরাসরি পর্যালোচনা বৈঠকের প্রসঙ্গ উল্লেখ না করে তিনি লিখেছেন, "মুখ্যমন্ত্রী আবার দেখিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষের দুর্দশার জন্য তিনি কোনোভাবেই সংবেদনশীল নন।" রাজ্যপাল এবং বিজেপি নেতাদের সমালোচনার জবাবে উল্টোদিকে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়(Sukhendu Sekhar Roy) তাদেরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, "তিন সপ্তাহ আগে বাংলার মানুষ ওদেরকে ওদের জায়গা দেখিয়ে দিয়েছে, আজকে যতই মুখ্যমন্ত্রীকে উপদেশ দিন না কেন কিছু হবে না।" এছাড়াও শুখেন্দুশেখর রায় তাদেরকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে কিছু শিখতে বলেছেন, জ্ঞান না দিয়ে।