একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষের ভোটে বড় মার্জিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) জয়লাভ করেছে। কিন্তু ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বারংবার খবরের শিরোনামে উঠে আসছে ভোট-পরবর্তী অশান্তি ছবি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "ভোটের পর তৃণমূল বিজেপি দ্বন্দ্বে দুই রাজনৈতিক দলের কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় দায়িত্বে ছিলেন কমিশন। ভোট-পরবর্তী হিংসায় প্রাণ দিয়েছিল ১৬ জনের।" এই পরিস্থিতিতে ফের রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। আসলে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এখন দৈনন্দিন ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার রাজ্যপাল জোড়া টুইটে শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন এবং সেইসাথে আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার রাজ্যের নয়া মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদিকে রাজভবনে ডেকে পাঠালেন।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় টুইটে বলেছেন, "রাজ্যে হিংসার বাতাবরণে তৈরি হয়েছে। ভোটের পর থেকে বিরোধীরা যে অত্যন্ত ভয়ের সঙ্গে দিন কাটাচ্ছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজ্যের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। এই অবস্থায় মুখ্যসচিবকে সোমবার রাজভবনে ডাকা হয়েছে। ভোট-পরবর্তী ইন সেটা কাদের রাজ্য কী পদক্ষেপ করেছে এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তাঁর থেকে জানতে চাওয়া হবে।" এছাড়া অন্য একটি টুইটে রাজ্যপাল বলেছেন, "বিরোধীরা ভোট দেওয়ার সাহস দেখানোর শাস্তি পাচ্ছেন এখন। বিরোধীদের সামাজিক বয়কট করা হচ্ছে। এটা উচিত নয়। এখনও পুরোদমে ভোট পরবর্তী হিংসা চলছে। যা মানবতার লজ্জা। অথচ প্রশাসনের কোনো হেলদোল নেই। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।"
অন্যদিকে তদন্ত করতে গিয়ে শীতলকুচি কাণ্ডে সিআইডি যা রিপোর্ট পেশ করেছে তাতে অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ভোটের সময় বুথের বাইরে ঝামেলা হলেও বুথের ভিতরে গুলি ঢুকেছে বলে সিআইডি দাবি করেছে। তারা জানিয়েছে যে বুথের বাইরে গুলি চললেও দা দরজা ভেদ করে ব্লাকবোর্ডে গিয়ে গুলি লাগে। এই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আগামীকাল শীতলকুচিতে ফরেনসিক ব্যালিস্টিক টিম যাবে। তিন সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে এবং ঠিক কী ধরনের গুলি চলেছিল তা খতিয়ে দেখবে। এছাড়া তারা ঘটনার পুননির্মাণ করতে পারে।