মাত্র দেড় বছর বয়সে ছোট্ট শিশু কন্যা কিডনির অসুখে ভুগছে। সেই নিয়ে বাবা-মায়ের চিন্তার শেষ নেই। খুব সামান্য রোজগারে মেয়ের চিকিৎসা করা প্রায় অসম্ভব ছিল। তার মধ্যেই কামারহাটি পৌরসভার মানবিক উদ্যোগে মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হাতে পেলেন ওই শিশু কন্যার মা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কে তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। খুব শীঘ্রই তাকে পার্কসার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানোর কথা।
পুরসভা এবং পরিবার জানিয়েছে, ওই শিশু কন্যার মা তাপসী পন্ডিত ওই পুরসভার আশা কর্মী। তার বেতন মাত্র ৩১২৫ টাকা প্রতিমাসে। তার স্বামী বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিভি ইনস্টল করেন। তাদের দেড় বছরের কন্যা সন্তানের নাম সৃষ্টি। বয়স বেশ কিছুটা হয়ে গেলেও ওজন মাত্র ৫ কেজি। ৭ মাস বয়স থেকেই তার নানা সমস্যার শুরু হয়। এসএসকেএম হাসপাতালে দেখানোর পরে তার কিডনির অসুখ ধরা পড়ে। তারপরে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ শুরু হবার কারণে আর ওই শিশু কন্যার চিকিৎসা করানো হয়নি এসএসকেএম থেকে।
বেসরকারিভাবে চিকিৎসা করানো হলেও খরচ প্রচুর হয়ে যাচ্ছিল। কোথা থেকে এত টাকা জোগাড় করবেন তা ভেবে পাচ্ছিলেন না তার বাবা মা। দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরু হওয়ায় তারা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করানোর জন্য পৌঁছে যান বেলঘড়িয়ার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কামারহাটি পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য বিমল সাহার কাছে। তিনি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরে সঙ্গে সঙ্গে পৌরসভা স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরদিন সকালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। মেয়ের সাহায্য করার জন্য তাপসী দেবী বিমল বাবু, পুরসভা এবং প্রশাসনের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।