কথায় আছে, "সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার!" প্রতি বছর মকর সংক্রান্তির পুণ্য তিথিতে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে এই মিলনক্ষেত্রে। মকর সংক্রান্তির দিন সারা দেশ থেকে হিন্দু পুণ্যার্থীরা গঙ্গা ও বঙ্গোপসাগরের সঙ্গম স্থলে ডুব দিয়ে পুণ্যার্জন করেন। তারপর তাঁরা কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দিয়ে তাঁদের কৃতকর্মের শুদ্ধিকরণ ঘটান। তাই গঙ্গাসাগর মেলা নামে সর্বজনবিদিত।
কোভিড পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে গত বছর থেকেই গঙ্গাসাগর মেলার বহুল পরিবর্তন করা হয়েছে। গত বছর হাইকোর্টের নির্দেশে বন্ধ ছিল গঙ্গাস্নান। তার বদলে চালু হয়েছিল অভিনব ই-স্নান ব্যবস্থা। পাইপ লাইনের মাধ্যমে অস্থায়ী একক বাথরুমে জল পৌঁছে যাচ্ছিল। আর এইভাবে স্নান ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে মকর সংক্রান্তির পুণ্য অর্জনে খুব একটা খামতি ধরা পড়েনি। সাধারণ পুণ্যার্থী এভাবেই স্নান করে পুণ্য অর্জন করেছিলেন। তবে বেশি জমায়েত রুখতে প্রশাসনের তরফে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় ফের এক অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করতে চলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসন। এবার ড্রোনের মাধ্যমে আকাশপথে ওপর থেকে পুণ্যার্থীদের গায়ে গঙ্গাজল ছিটিয়ে গঙ্গাস্নানের অভিনব উদ্যোগ নিতে চলেছে জেলা প্রশাসন, তেমনটাই খবর। জানা গিয়েছে, এই কাজের জন্য অন্তত ২০ টি ড্রোন নিয়ে আসা হবে। সেই গঙ্গাজল আগে কপিল মুনির আশ্রমে পুজো করে সাধারণ পুণ্যার্থীদের শুদ্ধিকরণের জন্য ওপর থেকে বর্ষণ করা হবে। প্রশাসনের ধারণা, এভাবেই যেমন সহজে ভিড় এড়ানো যাবে, তেমনি সমুদ্রে ডুব দেওয়ার প্রয়োজন হবেও না।
এমনিতেই গঙ্গাসাগর মেলার মাস দুয়েক আগে থেকেই সব ধরণের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। কোভিড পরিস্থিতির জেরে ফের রাজ্যে বেড়েছে কোভিড বিধির সময়সীমা। সেদিকটি খেয়াল রেখে সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।