নদীয়া জেলার বীরনগরে দশ শয্যার একটি নার্সিংহোম চালান পুরসভার চিকিৎসক রবীন্দ্রনাথ মান্না। নিজে চিকিৎসক, তার ওপর যুক্ত রয়েছেন পুরসভার সঙ্গে। তা সত্ত্বেও বেআইনিভাবে খুলে রেখেছিলেন লাইসেন্স ফুরিয়ে যাওয়া নার্সিংহোম। রমরমিয়ে চলেছে ইউএসজি ক্লিনিকের ব্যবসাও।
২৯ মার্চ শেষ হয় ইউএসজি ক্লিনিকের লাইসেন্স। ডাক্তারবাবু পুনর্নবীকরণের আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু পরিকাঠামো ঠিক না থাকার কারণে স্বাস্থ্য দপ্তর লাইসেন্স দেয়নি। পরে আবার আবেদন করলে গত ৯ অক্টোবর ইনস্পেকশনে যান রানাঘাট মহকুমার স্বাস্থ্য আধিকারিক। বিস্মিত হয়ে দেখেন, শুধু ইউএসজি ক্লিনিক নয়, শেষ হয়ে গেছে খোদ হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ। অথচ অবলীলায় চলছে ব্যবসা। ওই দিনই এক প্রসূতির সিজার হয়েছে। আধিকারিক নার্সিংহোম বন্ধের নির্দেশ দেন।
কি করে এমন বেআইনি কাজ চলতে পারল? এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, পুরসভায় চাকরির দৌলতে শাসক দলের নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আছে ডাঃ মান্নার। তাঁদেরই ভরসায় এই দুঃসাহস।