এলাকায় তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা বলে পরিচিত ছিলেন। সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এবার খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন এক নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রত্নাকর দে নামে ব্যক্তি একসময় বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মন্ডলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেও খবর। এই রত্নাকর দে-র বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন বছর ২৫-র এক তরুণী। যদিও রত্নাকর দে-র পাল্টা অভিযোগ সেই তরুণী নাকি তার স্ত্রী। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর।
ঠিক কী ঘটনার খবর উঠেছে? সূত্রের খবর, বীরভূমের বোলপুরের বাসিন্দা রত্নাকর দে-র বিরুদ্ধে এক তরুণীর অভিযোগ চাকরি-সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয়েছে। ১৬ বছর বয়স থেকে তিনি রত্নাকর দে-র হাতে নিগৃহীতা। নিজেকে রত্নাকর দে-র হাত থেকে রক্ষা করতে ঘর ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন সেই তরুণী। তারপরও তাঁর নিস্তার মিলত না। এমনকী তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের নাম করেও সেই তরুণী এবং তাঁর পরিবারের লোকজনদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সেই তরুণী। পুলিশ প্রতারণা এবং ধর্ষণ মামলা রুজু করেছে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে মূল অভিযুক্ত রত্নাকর দে-র দাবি, সেই স্ত্রী তাঁর বিবাহিত স্ত্রী। তার পাল্টা দাবি, আমার সঙ্গে বিয়ে হলেও অন্য একটি ছেলের সঙ্গে পালিয়েছিল। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা আছে। যদিও তরুণী পাল্টা দাবি করেছেন, অভিযুক্ত রত্নাকর দে-র বয়স ৬৫-র অধিক। এই সময়ে কীভাবে ৬৫ বছর বয়সী কোন ব্যক্তির সঙ্গে ২৫ বছর বয়সী মেয়ের বিয়ে হয়! অনুব্রত মন্ডলের ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন তাঁকে অত্যাচার করেছে সেই প্রাক্তন তৃণমূল নেতা। যদিও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, ওই নেতার সঙ্গে দলের কোন সম্পর্ক নেই। কোন অপরাধ করলে আইন আইনের পথে চলবে।