আবার অনলাইন ক্লাস চলাকালীন পরিবারকে খুনের অভিযোগ উঠল হুগলির লিলুয়ায়। দিন কয়েক আগে লিলুয়ায় স্বামী স্ত্রী এবং মেয়ের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গোয়েন্দাদের ধারণা, অনলাইন ক্লাস চলাকালীন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সম্রাজ্ঞী দাস কে হত্যা করেছেন তার বাবা অভিজিৎ। এর আগেও অগাস্ট মাসে বেহালার পর্ণশ্রীতে একইভাবে অনলাইন ক্লাস চলাকালীন মামার হাতে খুন হয়েছিলেন অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়া।
গত শনিবার হাওড়া লিলুয়া থানা এলাকায় বেলগাছিয়া থেকে উদ্ধার হয়েছিল স্বামী স্ত্রী এবং তার মেয়ের দেহ। স্থানীয়রা বেশ কিছুদিন ধরে অভিজিত বাবু এবং তার পরিবারকে দেখতে পাচ্ছিলেন না এলাকায়। পরিবার তাদের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকায় তারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে বাড়ির দরজা ভেঙে প্রথমে অভিজিত বাবুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। দোতলা ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিলেন মা দেবজানি এবং মেয়ে সম্রাজ্ঞী। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্ত্রী এবং কন্যাকে হত্যা করে আত্মঘাতী' হয়েছেন অভিজিত বাবু। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পরে জানা যায়, স্ত্রী এবং কন্যাকে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে খুন করেছেন অভিজিত বাবু। তারপর আত্মঘাতী হয়েছেন নিজে।
অন্যদিকে, তার মেয়ের পরনে ছিল স্কুলের ড্রেস। সেখান থেকেই পুলিশের ধারণা, স্কুলের অনলাইন কাজ চলাকালীন সময় বাবার হাতে খুন হয়েছে সম্রাজ্ঞি। পুলিশ মনে করছে, আর্থিক সমস্যার কারণেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন অভিজিত বাবু। তিনি একজন গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসায়ী ছিলেন। জানা গিয়েছে, বাজারে তার বেশ কিছু ধার হয়ে গিয়েছিল। সেই ধার শোধ করার জন্য স্ত্রীর গয়না বন্ধক রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু ধার শোধ করতে না পারায় বন্ধ করে রাখা গয়না নিলাম করার দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কাছ থেকে। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল অশান্তি শুরু হয়েছিল। তার পাশাপাশি, মেয়ের দামি স্কুলের খরচ টানতে পারছিলেন না অভিজিত বাবু। পুলিশের ধারণা এই কারণেই স্ত্রী এবং কন্যাকে হত্যা করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন পেশায় গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসায়ী অভিজিৎ দাস।