কেউ বার্ধক্য ভাতা পাননি কিংবা কারোর বাড়ির সামনে কাঁচারাস্তা, বর্ষা নামলেই পথচলা দূরস্ত, বারবার অভিযোগ কিংবা প্রশাসনের কাছে দরবার করেও মেলেনি সুরাহা - এবার সেই সমস্যার সমাধানে 'টক টু কেএমসি'-র ধাঁচে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) এগরার (Egra) তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক চালু করলেন 'টক টু - এম.এল.এ'। এগরার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতির (Tarun Kumar Maity) এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব তৃণমূলের এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। বিরোধীদের কটাক্ষ, এসব লোক দেখানো কাজ না করে আপনার দলের নেতাদের বরং বলুন আবাস যোজনায় দুর্নীতি বন্ধ করতে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এই দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
এগরার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি বলেছেন, অনেক সময় সাধারণ মানুষের কথা বিধায়ক পর্যন্ত এসে পৌঁছায় না। তাছাড়া সাধারণ মানুষ তাঁদের সমস্যার কথা মন খুলে কাউকে জানাতে পারেন না। তার জন্য দু'টি মোবাইল নম্বর দিয়ে প্রচার করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ তাঁদের সমস্যার কথা সরাসরি আমাকে জানাতে পারবেন। এমন উদ্যোগের হঠাৎ কারণ কী? বিষয়টি হঠাৎ নয়। এর আগেও কত সমস্যার কথা ফোনের মাধ্যমে জেনেছি। তবে এই আনুষ্ঠানিকতা জনপ্রতিনিধি হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে আরও সহজে পৌঁছে যাওয়া। আর আমাদের কাজই তো মানুষের পাশে থাকা, সাধারণ মানুষকে পরিষেবা প্রদান করা।
ইতিমধ্যেই এলাকায় বিধায়কের এই উদ্যোগ যথেষ্ট সাড়া তৈরি করেছে। গত মঙ্গলবারের বিশেষ এই প্রোগ্রামে অসংখ্য সাধারণ মানুষ তাঁদের সমস্যার কথা ফোনের মাধ্যমে এলাকার বিধায়কের কাছে তুলে ধরতে পেরেছেন। কারোর বাড়ির সামনের ঢালাই রাস্তার দাবি কিংবা কারোর বার্ধক্য ভাতা হয়নি কিংবা কেউ লক্ষ্মীভান্ডার পাচ্ছেন না, সব সমস্যার কথাই শুনলেন এলাকার বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি। আর জানালেন, "একজন বিধায়ক হিসেবে শুধু নয়, আপনাদের আপনজন হিসাবে আপনাদের এলাকার সমস্যা সমাধানে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক হিসাবে দায়বদ্ধ। যাঁদের ফোন ধরতে পারিনি আগামী 'টক টু - এম.এল.এ'-র ৩য় পর্বে তাঁদের সাথে কথা বলার জন্য মুখিয়ে থাকব l সাবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।"