নতুন মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) নির্দেশিকা নিয়ে এবার সৃষ্টি হল বির্তক। এদিন সোমবার মিড ডে মিল প্রকল্পের প্রোজেক্ট ডিরেক্টরের দপ্তর নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, আগস্ট মাস থেকে মিড ডে মিলে বাড়ানো হয়েছে আলুর বরাদ্দ। এখন থেকে দু’কিলো করে আলু পাবেন রাজ্যের উপভোক্তারা। এর সঙ্গেই বাদ পড়েছে সোয়াবিন। নয়া নির্দেশিকাতে দেখা গিয়েছে, দু’কিলো আলুর সঙ্গে চাল দু’কেজি, চিনি ও ডাল ২৫০ গ্রাম এবং একটি করে সাবান দেওয়া হবে ছাত্রছাত্রীদের। পূর্বের নিয়মানুসারে আগস্ট মাসেও পড়ুয়াদের অভিভাবকরা স্কুলে এসে মিড-ডে মিল নিয়ে যাবেন। কাজেই, ছাত্রছাত্রীদের জন্য আগস্টেও খুলছে না স্কুলের দরজা, মত ওয়াকিবহাল মহলের।
তবে নয়া নির্দেশিকাতে দু’কিলো করে আলু দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে খুশির বাতাবরন থাকলেও একইসঙ্গে সোয়াবিন বাদ পরে যাওয়ার খবরে আশাহত দরিদ্র পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা। কারণ, এই মহামারীর সময়ে দরিদ্র পরিবারের অনেক ছাত্রছাত্রীদের পুষ্টির অন্যতম উৎস সোয়াবিন। এমনই উল্লেখ করে এবার এ বিষয়ে সরব হলেন শিক্ষকদের একাধিক সংগঠন। বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা অভিযোগ করে এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, করোনা সংক্রমণ রুখতে শিশুদের সমূহ পুষ্টিকর খাদ্যের দায়িত্ব সরকারের নেওয়া উচিৎ। অথচ সরকার এর আগে জুন মাসে ছোলা বাদ দিয়েছে এবং ডালের পরিমাণ অর্ধেক করে ২৫০ গ্রাম করেছে। এরপর আগস্ট মাসে সোয়াবিন বাদ দিয়ে দিল। যা অত্যন্ত অবিবেচনার।