দিন কয়েক ধরেই আশঙ্কা ছিল ভাঙতে পারে নদীর পাড়। কোটালের জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হল গোটা এলাকা। ছোটমোল্লাখালির কালিদাসপুর ৮ নম্বর গ্রামে বিদ্যাধরীর পাড়ে একাধিক জায়গায় ভাঙন দেখা দিল। ভেসে গেল অসংখ্য বাড়ি, নোনা জলে ভরে গেল ক্ষেতের জমি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কালিদাসপুর ৮ নম্বর গ্রামে বিদ্যাধরীর পাড়ে ভাঙন দেখা যায় যায়। নদী পাড়ের একাধিক জায়গায় ফাটল ছিলই। ভরা কোটালে একাধিক জায়গায় পরপর নদীপাড় ভাঙতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় কোমরসমান জল দাঁড়িয়ে যায়। ঘরের জিনিসপত্র সব ভেসে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নদী পাড়ের বাঁধ দুর্বল ছিল। প্রশাসনের বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরেও কোন উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। আগে উদ্যোগ নিলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। স্থানীয় তারানগর গ্রামের বাসিন্দা পার্থ গায়েনের বক্তব্য, "বাঁধ ভাঙলেই প্রশাসন তৎপর হয়। আগে থেকে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না? বাঁধে ফাটল দেখা দিলে মাটি দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। এইভাবে ভাঙন রোধ করা কীভাবে সম্ভব?"
শনিবার সকাল থেকেই নদীবাঁধ ভাঙতে শুরু করেছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করে। একাধিক বাড়িতে জল ঢুকে যায়। বর্ষার চাষের বীজতলা নোনা জলের তলায়। আচমকাই নোনাজল ঢুকে যাওয়ায় এবারে ধানচাষ আদৌ হবে কী না সন্দেহ। গোটা বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তৈরি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ।