হঠাৎ করেই উত্তর দিনাজপুরের এক গ্রামে অভিযান চালায় একদল উর্দিধারী। গ্রামবাসীদের সঙ্গে সামান্য কথাবার্তাও বলার প্রয়োজন মনে করেনি তাঁরা। হঠাৎ করেই লোকের বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করে তাঁরা। তাঁদের সামনে পড়েছিলেন বছর তেরোর এক নাবালিকাও। সেই কিশোরীটিকেও রেয়াত করেনি তারা। লাঠি মেরে পায়ের হাড় দু-ভাগ করে দেয় মেয়েটির।
এই ঘটনার পর যথারিতি আবগারি দপ্তরের কর্মীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে স্থানীয়রা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে উত্তপ্ত দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের মদনাহার এলাকা। রীতিমতো রাস্তা বন্ধ করে প্রতিবাদ করেন গ্রামবাসীরা। যার জেরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তপন লস্করহাট রুটের বেশ কিছুক্ষনের জন্য। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান তপন থানার আইসি সহ বিশাল বাহিনী। সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে অবরোধ শুরু হয় ও শেষ হয় প্রায় দুপুর আড়াইটে নাগাদ।
এই প্রসঙ্গে, গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বলার আগেই, "একাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। ওই রকমই একটি বাড়ির ভিতরে ছিল ১৩ বছরের মেয়েটি। আবগারি দপ্তরের কর্মীর এলোপাথাড়ি লাঠির চোটে পা ভেঙে যায় তাঁর। আমরা এর বিচার চায়।" হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, "নাবালিকার পা ভেঙে টুকরো হয়ে গিয়েছে।" শনিবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এলাকায়।