এবারের বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক উচ্চপদস্থ সরকারি অফিসার যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্বাচনের সাথে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে শাসকদলের প্রতি পক্ষপাতিত্বের একাধিক অভিযোগ থাকায় ইতিমধ্যেই বদল কিম্বা অপসারণের নীতিতে হেঁটেছে নির্বাচন কমিশন। চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণের ঠিক পূর্বমুহূর্তেও সেই ধারা অব্যাহত। পরপর দুটি বড়ো সিদ্ধান্ত নিল কমিশন। গতকাল সন্ধ্যাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা আধিকারিক অশোক চক্রবর্তী ও ভাঙড় থানার আইসি শ্যামাপ্রসাদ সাহাকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।
যদিও নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর আক্রান্ত হবার ঘটনা থেকেই এই বদল বলে অনেকে মনে করেন, তবে কি কারণে এই বদল তা নিয়ে নির্বাচন কমিশন অবশ্য কোনো কারণ দেখায়নি। এমনকি পরিবর্তে ওই পদে কাকে বসানো হয়েছে তাও নির্দেশিকায় জানানো হয়নি। একইসাথে গত রাতেই ভাঙড় থানার আইসি বদল করল নির্বাচন কমিশন। ভাঙড় থানার আইসি শ্যামাপ্রসাদ সাহার পরিবর্তে নতুন আইসি হলেন এসটিএফ-এর ইন্সপেক্টর তীর্থেন্দু গঙ্গোপাধ্যায়। চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণের জন্য দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বজবজ, মহেশতলার পাশাপাশি ভাঙড় কেন্দ্রও স্পর্শকাতর বলেই পরিচিত। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার জন্য ১০১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। ভাঙড়ে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন করিম রেজাউল, বিজেপির প্রার্থী সৌমি হাতি ও সংযুক্ত মোর্চার তরফ থেকে রয়েছেন সেক্যুলার ফ্রন্টের নওসাদ সিদ্দিকী।