পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী পক্ষের তরফ থেকে বারংবার অভিযোগ জানানো হয়েছে, এবারের কলকাতা পৌরসভা নির্বাচনে তোষণের রাজনীতি করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ ছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও। বিরোধীপক্ষের অভিযোগ ছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন পক্ষপাত দুষ্ট আচরণ করছে বিরোধী দলের সঙ্গে। তবে, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা নিরপেক্ষতা প্রশ্নচিহ্নকে তুলতে এবার আরও তৎপর ভূমিকা গ্রহণ করল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আসন্ন চারটি পুরসভার ভোটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
এছাড়াও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য বুধবার স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক সেরে ফেললেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। তবে এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করবে না নির্বাচন কমিশন। বরং তার পরিবর্তে বর্তমানে রাজ্য পুলিশের মাধ্যমেই নির্বাচন শেষ করবে নির্বাচন কমিশন। তার পাশাপাশি, এই সমস্ত পুরসভা নির্বাচনের জন্য অতিরিক্ত পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হবে কমিশনের তরফ থেকে। এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৫জন বিশেষ পর্যবেক্ষক সহ ১৭জন পর্যবেক্ষক চারটি পুরভোট পরিচালনা করবেন।
পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা ছাড়াও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা আরো কঠোর করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। জানা যাচ্ছে, আগামী ২২ জানুয়ারি আসানসোল পুরসভায় যে নির্বাচন হতে চলেছে, তাতে নিয়োগ করা হতে চলেছে ১৭ জন পর্যবেক্ষককে। তার মধ্যে শুধু আসানসোলের জন্য থাকতে চলছে ৭জন পর্যবেক্ষক। এরমধ্যে ৫জন হতে চলেছেন সাধারন পর্যবেক্ষণ এবং ২ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক। বিধান নগরের পুরভোটের জন্য ৪জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করবে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে তিনজন সাধারণ এবং একজন বিশেষ পর্যবেক্ষক থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। এবং শিলিগুড়ি এবং চন্দননগরের জন্য একজন করে বিশেষ এবং দুজন করে সাধারন পর্যবেক্ষক রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।