পুজো হচ্ছে। কিন্তু দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট। পুজোর জায়গাগুলি কনটেইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করার নিদান দিয়েছে আদালত। ফলে রাজ্য সরকারের পুজো সম্পর্কে নেওয়া অবস্থান সরাসরি বর্জিত হলো হাইকোর্ট দ্বারা।
এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের পক্ষে সৌগত রায় বললেন, "এই সিদ্ধান্ত হৃদয় বিদারক। পুজো কমিটি এবং সাধারণ মানুষ সকলের পক্ষেই এটা বড়ো ধাক্কা। মানুষের উন্মাদনা কমবে এই সিদ্ধান্তে।" কিন্তু তৃণমূলের মতের একদম বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে বাম এবং কংগ্রেস। বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বরাবর বলে আসছিলেন, "মুখ্যমন্ত্রী নিজে ভার্চুয়ালি সবটা করছেন। অথচ সাধারণ মানুষকে রাস্তায় নামার ব্যাপারে উৎসাহ দিচ্ছেন।" এর ফলে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করেছিলেন সুজন বাবু। তাই হাইকোর্টের রায়ে স্বস্তিতে তিনি। অন্যদিকে হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেও এটা আদেও বাস্তবায়িত করা যাবে কিনা সেই ব্যাপারে দ্বিধা প্রকাশ করা হয়েছে কংগ্রেসের পক্ষে।এদিকে বিধানসভা ভোটের আগে দুদিক সামলাতে ব্যস্ত বিজেপি। হাইকোর্টের রায় মেনে নিয়েই তারা ধর্মীয় আবেগ বজায় রাখার চেষ্টা করছে। সব্যসাচী দত্ত বলেই দিলেন, "রায় মেনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হবে বিজেপির পুজোয়।"
কিন্তু কোর্টের এই রায়ে মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছে পুজো কমিটিগুলোর। তাদের এতো বিনিয়োগ, এতো আয়োজন সব জলে যাওয়ার মুখে। মানুষ না এলে সবটা বৃথা। তাই মঙ্গলবার ফোরাম অফ দুর্গোৎসব একটি মিটিং করে তাদের অবস্থান ঠিক করবে বলে জানিয়েছে।