আজ বিজেপির (BJP) শহিদ সম্মান যাত্রার সূচনা হচ্ছে। বিজেপির চার নেতা রাজ্যের চার প্রান্ত থেকে এই শহিদ সম্মান যাত্রায় অংশ নেবেন বলেই বিজেপি সূত্রে খবর। মিছিল, পথসভা করতে করতে এগোবে এই শহিদ সম্মান যাত্রা। সূত্রের খবর, মুরলীধর সেন লেন থেকে বাঁকুড়া পর্যন্ত শহিদ সম্মান যাত্রা করবেন সুভাষ সরকার। বিমানবন্দর থেকে বনগাঁ যাবেন শান্তনু ঠাকুর। জন বার্লা যাবেন বাগডোগরা থেকে আলিপুরদুয়ার। নিশীথ প্রামাণিক বাগডোগরা থেকে কোচবিহার পর্যন্ত যাবেন। তবে যাত্রা শুরুর আগেই গতকাল কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমারকাণ্ড ও আজকের কর্মসূচির আগেই গ্রেফতারির প্রেক্ষিতে এদিন রাজ্যের শাসক দলকে কাঠগড়ায় তোলেন দিলীপ ঘোষ।
প্রসঙ্গত, বাংলা জয়ের পর এবার ত্রিপুরার লক্ষ্যে তৃণমূল। ত্রিপুরায় গিয়ে বারংবার আক্রমণের মুখে পড়লেও, নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ তৃণমূল। বরং তৃণমূলের অভিযোগ, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই। এর সঙ্গেই, লাগাতার আক্রমণ নিয়ে ত্রিপুরা সরকারকে তুলোধোনাও করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই ইস্যুতেই এবার এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, "গণতন্ত্রের মানে কি জামা-কাপড় না পরেই রাস্তায় বেড়ানোর অনুমতি?"
দিলীপ ঘোষ এদিন আরও বলেন, "নিজের রাজ্য ছেড়ে এখন ত্রিপুরা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে তৃণমূল। সেখানে গিয়ে অশান্তি করছে। বিপ্লব দেব পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন। তা সত্ত্বেও লাগাতার বিজেপিকে দোষারোপ করা হচ্ছে। আমি তো বুঝতেই পারছি না গণতন্ত্রের অর্থ ওঁদের কাছে কী। গণতন্ত্র মানে কি জামা-কাপড় না পরেই রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো?" স্বাভাবিকভাবেই এমন মন্তব্যে বির্তক তুঙ্গে। যদিও তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই ত্রিপুরায় কর্মসূচিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন জয়া দত্ত, দেবাংশু ভট্টাচার্যরা। তা নিয়ে বেশ জলঘোলা হয়। পরবর্তীতে দোলা সেন, তাঁর আপ্ত-সহায়ক ও অপরূপা পোদ্দারও আক্রান্ত হন ত্রিপুরার কর্মসূচিতে গিয়ে।