চলতি বছরে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) জয়ের পর গতকাল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রথম বিরাট জনসমাবেশ করলেন একুশে জুলাই উপলক্ষে। গোটা শহীদ স্মরণ কর্মসূচি ভার্চুয়াল মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছিল। তৃণমূল নেত্রীর বক্তৃতা শোনার জন্য দলীয় নির্দেশে স্থানীয় ঘাসফুল কর্মকর্তারা জায়গায় জায়গায় মাইক ও জায়েন্ট স্ক্রিন লাগিয়েছিল। একইভাবে মেদিনীপুর (Mednipur) শহরের বটতলাচকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা শোনার জন্য মাইক লাগানো হয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সেই মাইকে শোনা গিয়েছিল দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বক্তৃতা। হঠাৎ সেই সুর শুনে থমকে গিয়েছিল সকল শ্রোতা। এমনকি পথচলতি মানুষেরা মুহূর্তের মধ্যে থমকে দাঁড়িয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর বদলে হঠাৎ কেন দিলীপ ঘোষের বক্তৃতার শোনা যাচ্ছে, সেই নিয়ে বেশ বিশৃঙ্খলতার আবহ সৃষ্টি হয়েছিল।
আসলে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন শহীদ স্মরণ দিবস উপলক্ষে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তখন দিল্লিতে বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, "গণতন্ত্র বাঁচাও, পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও" কর্মসূচিতে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। মেদনীপুরের বটতলাচকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্প্রসারনের টিভি চ্যানেলের সাথে মাইক যুক্ত করা ছিল এবং সেই বক্তৃতা সকলে শুনতে পাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই ছন্দপতন হয়। ওই মাইকে ভেসে ওঠে দিলীপ ঘোষের স্বর। মাইকে শোনা যাচ্ছিল যে দিলীপ ঘোষ বলছেন, "দশ বছরে তৃণমূলের আসল চরিত্র মানুষ দেখে নিয়েছে। হাজার মানুষ খুন হয়েছে। বাংলায় হিংসার রাজত্ব চলছে।" হঠাৎ করে মাইকে এমন বক্তৃতা শুনে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। তারা দ্রুত সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। পরে অবশ্য ওই মাইকে আবার তৃণমূল নেত্রীর ভাষণ শোনানো হয়। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী জানিয়েছেন, "টেকনিক্যাল ফল্ট হয়েছিল। তেমন বড় কিছু নয়। খুব দ্রুত সামলানো গিয়েছে।"