গতকাল থেকেই চর্চায় রয়েছে আফগানিস্তানে তালিবানি (Taliban) শাসন। এবার তালিবানি আগ্রাসনে ভারত সরকারের অবস্থান নিয়ে সমালোচনা করল দেশের অন্যতম বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। "জাগো বাংলা" সংবাদপত্রে তৃণমূলের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে তালিবান ইস্যুতে শুধু রুটিন বিবৃতি দিয়ে কেন থেমে থাকছে ভারত সরকার? সম্পাদকীয়তে তৃণমূলের বক্তব্য, "আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় আওয়াজ তুলুক ভারত। এত অস্ত্রসম্ভার তালিবানিদের হাতে যাচ্ছে কি করে? এখন ভারত যদি এই বিষয়ে প্রশ্ন না তোলে, কড়া অবস্থান না নেয়, বিশ্বের দরবারে চাপ না বৃদ্ধি করে, তাহলে ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের তালিবানদের শাখাপ্রশাখা দেশের অস্থিরতা তৈরির চক্রান্ত শুরু করবে।" যদিওবা ভারত সরকার ইতিমধ্যেই বিবৃতিতে জানিয়েছে, "আফগানিস্তানে পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে ভারত। আপাতত সেখানে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনাই ভারত সরকারের প্রধান লক্ষ্য।"
অন্যদিকে বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) দাবি করেছেন যে পশ্চিমবঙ্গে তালিবানি শাসন শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি নেতা সজল ঘোষের বাড়িতে বসে এমন মন্তব্য করে ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন তিনি। আসলে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন সজলবাবু। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি সজলবাবুকে গলায় মালা পরিয়ে সংবর্ধনা জানায়। দীলিপবাবু বলেছেন, "সজলবাবুকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সর্বত্র তার নিন্দা চলছে। চায়ের দোকানে বসে মানুষ প্রশ্ন তুলছে। এভাবে কি আধঘন্টা ধরে দরজা ভেঙ্গে একজনকে গ্রেপ্তার করা যায়? আমরা কি সভ্য জগতে আছি? রাজ্যের শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ কি অবস্থায় রয়েছে সেটা জানার দরকার রয়েছে। এখানেও তো তালিবানরাজ শুরু হয়েছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করা একজন রাজনৈতিক নেতাকে দরজা ভেঙে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাংলায় অনেক কিছু হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ কারুর বিরুদ্ধে একটাও কেস করে না। অথচ বিজেপির বিরুদ্ধে দিনরাত লেগে রয়েছে পুলিশ। প্রতিবাদ করলে পরিণতি কি হতে পারে সেটা দেখানোর জন্য এসব করছে তৃণমূল।"