পেট্রোল এবং ডিজেলের মত জ্বালানিতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছুটা শুল্ক কমিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই শুল্কের হারে কোনো পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়নি। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ এবং অন্যান্য বিজেপি নেতারা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ নিয়ে আসতে শুরু করেছেন এই ভ্যাট না কমানোর জন্য। তবে এতদিন ছিল শুধুমাত্র মুখে প্রতিবাদ। শুক্রবার এক ধাপ এগিয়ে পথে নামল ভারতীয় জনতা পার্টি। শুল্ক কমানোর প্রতিবাদে বর্ধমানের বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষোভ সমাবেশ করল ভারতীয় জনতা পার্টি। পুলিশের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বর্ধমান বীরহাটা জিটি রোডে অবস্থান-বিক্ষোভ করতে বসলেন সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরো বেশকিছু বিজেপি কর্মী। তবে এই অবস্থান-বিক্ষোভ এর নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সূত্রের খবর শুক্রবার দুপুর নাগাদ বর্ধমান বীর হাটা এলাকায় জ্বালানির শুল্ক কমানোর প্রতিবাদে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করে ভারতীয় জনতা পার্টি। এই মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং দিলীপ ঘোষের মতো প্রথম সারির বিজেপি নেতারা। তাদের অনুসরণ করে প্রচুর বিজেপি সমর্থক এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড করে পুলিশ যানজট সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু সেই মুহূর্তেই হঠাৎ পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন বিজেপি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, বীরহাটা ক্রসিং থেকে কোনভাবেই মিছিল এগোতে দেওয়া যাবে না।
পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হয়ে বিরহাটা জিটি রোডে অবস্থান-বিক্ষোভ করতে বসে পড়েন দিলীপ ঘোষ এবং রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের সঙ্গেই ছিলেন বিজেপির বেশ কিছু কর্মী সমর্থক। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বললেন, "আমাদের লক্ষ্য ছিল রাস্তায় নেমে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমরা কোনভাবেই অশান্তি করতে কিংবা কোন যানজট করতে চাইনি। আমরা কোন ব্যারিকেড ভাঙ্গিনি। কিন্তু তবুও পুলিশের তরফ থেকে আমাদের মিছিল আটকে দেওয়া হলো। এর পিছনে শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের মদদ রয়েছে। রাজ্য সরকার কেন এখনো পর্যন্ত পেট্রোপণ্যের ভ্যাট কম করছে না? এ প্রশ্নের উত্তর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে হবে।"