আজ সকাল থেকেই বঙ্গ রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে আছে তৃণমূল নেতাদের নারদ কান্ডে গ্রেপ্তারির প্রসঙ্গ নিয়ে। এরইমধ্যে হঠাৎই কিছুক্ষণ আগে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার তৃতীয়বারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে মেদিনীপুরের (Midnapore) কোতোয়ালি থানায় এফআইআর (FIR) দায়ের করেছেন। সেই এফআইআরের কপি তিনি ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব এইচ কে দ্বিবেদী ও রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে পাঠিয়েছেন। এছাড়াও এফআইআর মহিলা কমিশন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, "কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে খেলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারংবার বিজেপিকে বহিরাগত তকমা দেওয়া হয়েছে।ভোটের ফল বেরোনোর পর অর্থাৎ ২মে এর পর থেকে রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা প্রতিনিয়ত হয়ে চলেছে। লুটপাট, ধর্ষণ, খুন ইত্যাদি সমস্ত ঘটনার জন্য দায়ী শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জনসভায় গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন। সবাইকে হাতা, লাঠি বা খুন্তি দিয়ে বাহিনীকে আক্রমণ করার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নিতে হবে।"
এছাড়াও দিলীপ ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "ওনার স্বভাব রয়েছে যেখানে সেখানে গিয়েছে বসে পড়ার। অরাজকতা সৃষ্টি করার। উনি সব গায়ের জোরে করার চেষ্টা করেন। এখন আমাদের পার্টি অফিসে হামলা চালাবে। উনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ওনার দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা। কিন্তু উনিই আইন ভাঙছেন। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে।"
অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষের আজকে নারদ কান্ডে শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায় কেন গ্রেফতার হলো না সেই প্রসঙ্গেও বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেছেন, "ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়ের সাথে জিজ্ঞাসাবাদ সেরেছে সিবিআই। উপযুক্ত নথিপত্র দেখিয়েছে তাঁরা। সিবিআই তাঁদের নির্দোষ ঘোষণা করেছে।"