বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উৎযাপন নিয়েও চরমে পৌঁছালো রাজনৈতিক তরজা। এদিন বিশ্বভারতীর শতবর্ষের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। অথচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং উপস্থিত থাকলেন না সেই অনুষ্ঠানে।
এতেই ক্রমশ ঘণীভূত হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। এই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বিজেপি, তাদের অভিযোগ “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
এই মন্তব্য থেকে পিছপা হটেনি তৃণমূলও। রাজ্যের শাসকদলের দাবি, আমন্ত্রণ জানানো হয়নি মুখ্যমন্ত্রীকে। এদিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কে আমন্ত্রণ জানালো? কখন জানালো? আমি কোনও আমন্ত্রণ পাইনি। না পেয়েছি চিঠি, না ফোন।" যদিও এমনটাই দাবি করেছেন, ব্রাত্য বসু।
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা উপাচার্যের আমন্ত্রণপত্র ট্যুইট করেছে বিজেপি। সেই ট্যুইটে শেয়ার করে আরও লেখা হয়েছে, "সব জায়গায় নোংরা রাজনীতি, মমতা? আমন্ত্রণ পেয়েও বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়ে তিনি গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের ঐতিহ্যের অবমাননা করেছেন। সোনার বাংলাকে গলা টিপে মারছেন।"
প্রকাশ্যে আসার এই ট্যুইটকে কেন্দ্র করে পুনরায় ব্রাত্য বসু বলেন, “সেই চিঠির কোনও প্রাপ্তি স্বীকার করা হয়েছিল কি? ওই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারের নথি আছে কি? উপাচার্য নিজেই সই করে নিজের কাছে ওই চিঠি রেখে দিয়েছিলেন নাকি?”