শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের আন্দোলনের ইস্যুতে উত্তপ্ত সল্টলেকের বিকাশ ভবন (Bikash Bhavan) চত্বর। প্রকাশ্যে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ৪ শিক্ষিকা। অভিযোগ ছিল, অনৈতিকভাবে দূরে বদলি করা হচ্ছে শিক্ষিকাদের। বর্তমানে তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি। গতকাল এই ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। গতকাল তাঁর কাছ থেকে সেভাবে কোনও কড়া কথা না শোনা গেলেও, আজ এক ফোঁটাও জায়গা ছাড়লেন না তিনি। এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় তুলে ধরলেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য রাজ্য সরকার ঠিক কতখানি কাজ করেছেন, এবং কীভাবে তাঁদের উপকৃত করা হয়েছে।
এদিন তিনি লিখলেন, "বাম সরকারের আমলে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীনে SSK এবং MSK-র সহায়ক/সহায়িকা, সম্প্রসারক/সম্প্রসারিকারা নামমাত্র সাম্মানিক-এর বিনিময়ে কাজ করতেন। কাজের নিশ্চয়তা, আর্থিক নিরাপত্তা এবং অবসরকালীন সুযোগসুবিধা বলে কিছু ছিল না। কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার ১লা ডিসেম্বর, ২০২০ থেকে SSK এবং MSK-গুলিকে বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের অধীনে এনে একটি সুসংবদ্ধ রূপ দেয়।"
তিনি আরও লেখেন, "সহায়ক সহায়িকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে মাসিক ১০৩৪০ টাকা এবং সম্প্রসারক/সম্প্রসারিকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে ১৩৩৯০ টাকা করা হয়। এছাড়াও বাৎসরিক ৩% বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট চালু করা হয়েছে। প্রত্যেককে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে।যাঁরা ৬০ বছর বয়েসে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন, তাঁদের অবসরের সময়ে প্রত্যেকের জন্য ৩ লাখ টাকা এককালীন অবসর-ভাতা চালু করা হয়েছে। বাকিদের জন্যও এই সুবিধা দানের বিষয়ে অর্থ দপ্তরের সঙ্গে ফাইল চলছে। ৬০ বছর বয়সে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত যাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের জন্য ১/২/২১ থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করা হয়েছে। মহিলাদের জন্য সরকারি নিয়মানুযায়ী মাতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেককের জন্য চিকিৎসা সংক্রান্ত সহ বাৎসরিক ১৮ দিন ক্যাজুয়াল লিভ বা ছুটির অধিকার দেওয়া হয়েছে। তারপরেও যারা আন্দোলন করছেন, তারা শিক্ষক শিক্ষিকা নন, বিজেপি ক্যাডার।"