মঙ্গলবার বস্তাবন্দি অবস্থায় এক নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়ির (Siliguri) নকশালবাড়ি ব্লকের রথ খোলায়। জানা গিয়েছে, এলাকার একটি পরিত্যক্ত হোটেলের পিছনে একটি বস্তা থেকে থেকে উদ্ধার হয়েছে নাবালিকার মৃতদেহ।
সূত্রের খবর, গতকাল রাতে হোটেলটির পাঁচিলের পাশে একটি বস্তা লক্ষ্য করেন হোটেলের নিরাপত্তারক্ষীরা। বস্তা থেকে রক্ত বেরতে দেখে তাঁরা খবর দেন নকশালবাড়ি থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বস্তার ভিতর থেকে নাবালিকার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের (postmortem) জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে (North Bengal Medical College) পাঠায় নকশালবাড়ি থানার পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, মেয়েটির বয়স প্রায় ১৪ বছর। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে নাবালিকাকে। মৃতের মাথার ডানদিকে মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। মৃতদেহ সরিয়ে দেওয়ার জন্যই বস্তাবন্দি করে পরিত্যক্ত হোটেলের পাশে ফেলে রেখেছিল অভিযুক্ত, এমনটাই ধারণা পুলিশের। তবে মৃতদেহ লোপাটের আগেই হোটেলের নিরাপত্তারক্ষীদের নজরে বস্তাটি চলে আসায় সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে চলে আসে।
এদিকে এলাকাবাসীদের কথায়, মেয়েটি প্রায়ই হোটেলের পাশে একটি চায়ের দোকানে আসত। গতকাল সন্ধ্যাবেলাতেও সে চায়ের দোকানে এসেছিল। তাই ঘটনার পিছনে চায়ের দোকানদার জগদীশ ব্যাপারি জড়িয়ে থাকতে পারে বলে দাবী এলাকাবাসীদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকার মানুষজন। তাঁরা জগদীশ ব্যাপারির বাড়ি ভাঙচুর করতে গেলে কোনোক্রমে তা সামাল দেয় পুলিশ। ইতিমধ্যেই নাবালিকার পরিবার জগদীশ ব্যাপারির নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে ঘটনার পর থেকেই ফেরার জগদীশ এবং তার পরিবার।
